সালিনাসে যে ঘরে ঘরে এমন কাণ্ড। তাও আবার দিনের পর দিন ধরে৷ পরিস্থিতি এমনই যে সেখানকার মানুষের কাছে বিষয়টি ‘স্বাভাবিক’ হয়ে উঠেছে।
বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
১২বছর বয়সে বদলে যায় লিঙ্গ। যে ছিল মেয়ে, সে হয় যায় ছেলে। ডমিনিক প্রজাতন্ত্রের আশ্চর্য গ্রাম নিয়ে ইতিমধ্যে গবেষণা হয়েছে। সেখানে ঘটনা এতটাই স্বাভাবিক যে যারা এভাবে মেয়ে থেকে ছেলে হয় তাদের আলাদা নামও আছে। কিন্তু কেন হচ্ছে এমন কাণ্ড? কী বলছেন গবেষকরা?
ছিল মেয়ে, হয়ে গেল ছেলে। সুকুমার রায় নয়, রূপকথা বা সিনেমাও না। এই ঘটনা ঘোর বাস্তব। তাও হয় না-কি?
হয়। এই যেমন, ফেলোশিয়ার কথাই ধরুন। বারো বছর বয়স অবধি ফেলোশিয়া ছিল মেয়ে। সে এখন দিব্য বালক। নামও বদল হয়েছে। নতুন নাম জনি৷ যেহেতু লিঙ্গের পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে যে তার৷ না, কেবল একা ফেলোশিয়াই জনি হয়নি, বছর বারো বয়সে লিঙ্গ রূপান্তরের এমন ঘটনা ঘটেছে একটি গ্রামের অনেকের৷ কেন, কীভাবে, কোথায়?
অদ্ভূতুরে গ্রামের নাম সালিনাস। ডমিনিক প্রজাতন্ত্রের গ্রাম৷ চিকিৎসরা অবশ্য বলছেন, আশ্চর্য না, বায়োলজিকাল পরিবর্তনে এই ঘটনা ঘটা স্বাভাবিক৷ কিন্তু, তেমন ঘটনা তো লাখে একটা ঘটে৷ সালিনাসে যে ঘরে ঘরে এমন কাণ্ড। তাও আবার দিনের পর দিন ধরে৷ পরিস্থিতি এমনই যে সেখানকার মানুষের কাছে বিষয়টি ‘স্বাভাবিক’ হয়ে উঠেছে। আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এনডক্রিনলজিস্ট ড. জুলিয়ান ইমপারেতোই প্রথম সালিনাসের ‘স্বাভাবিক’ ঘটনা জানতে পারেন ও প্রকাশ্যে আনেন৷ একটি গবেষণা আবার বলছে, শুধু সালিনাসই নয়, পাপুয়া নিউগিনির সাম্বিয়ান গ্রামেও লিঙ্গ রূপান্তর দেখা গিয়েছে ৷ তবে কি-না সালিনাসে বিষয়টা এত বেশি সাধারণ, যে সেখানকার রূপান্তরিত ছেলেদের দু’টি বিশেষ নাম রয়েছে৷ কী নাম?
নাম দুটি হল ‘গুয়েভেডোসেস’ ও ‘মাচিহেমব্রাস’৷ যার অর্থ ‘বারো বছরের লিঙ্গ’ ও ‘প্রথমে নারী, পরে পুরুষ’৷ কিন্তু এমন ঘটনা বার বার কী করে ঘটে?
গবেষক ড. জুলিয়ান ইমপারেতো এর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাঁর মতে, মানব শরীরে একটি বিশেষ এনজাইমের অভাবে জেনেটিক পরিবর্তন হয়৷ মাতৃগর্ভের এই এনজাইমই ঠিক করে, কে ছেলে হবে আর কে মেয়ে৷ অন্যদিকে গর্ভাবস্থায় ছেলে হোক ও মেয়ে উভয়ের জন্যই থাকে “গোনাডস” নামের একটি লিঙ্গ নিরপেক্ষ হরমোন৷ এই হরমোনই দুই পায়ের ফাঁকে মাংসপিণ্ড সৃষ্টি করে৷