Home আগরতলা রণক্ষেত্র কলকাতা

রণক্ষেত্র কলকাতা

ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

কলকাতা: বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর)  বিজেপির যুব মোর্চার নবান্ন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হেস্টিংস। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে প্রথমে লাঠিচার্জ ও পরে জল কামান চালানো হয় বিজেপি কর্মীদের উপর। তার আগে বিজেপির জমায়েতের দিক থেকে পুলিশের দিকে উড়ে যেতে থাকে ইট।

 

জল কামান চলার পরেই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় গেরুয়া জমায়েত। বেলা একটা পর্যন্ত খবর, বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের নেতৃত্বে রাস্তায় বসে অবস্থান করছেন যুবমোর্চার কর্মীরা। কয়েকশ বিজেপি কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

বিজেপির পরিকল্পনা ছিল চারটি মিছিল নিয়ে নবান্নের দিকে.এগিয়ে যাবে তারা। গত কালই স্যানিটাইজ করার জন্য দুদিন নবান্ন বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করে সরকার। যদিও তাতে বিজেপি কর্মসূচি স্থগিত করেনি। বরং গেরুয়া শিবিরের তরফে বলা হয়, মুখ্যমন্ত্রী ভয়ে পালিয়ে যেতে পারেন কিন্তু বিজেপি রাস্তায় নামবেই।

সকাল থেকেই কলকাতা ও হাওড়ার বিভিন্ন রাস্তার পয়েন্টে পয়েন্টে স্টিলের ব্যারিকেড দিয়ে দুর্গ তৈরি করে ফেলেছিল পুলিশ। বারোটা নাগাদ মিছিল শুরু হতেই বিভিন্ন রাস্তা অবরুদ্ধ হতে শুরু করে। হেস্টিংসের পাশাপাশি হাওড়া ময়দান, সাঁতারাগাছি, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতেও তুমুল উত্তেজনা রয়েছে। সব মিলিয়ে কলকাতা হাওড়াজুড়ে কার্যত হুলুস্থুল পড়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের কর্মসূচি ঘিরে।

পরে হেস্টিংসের অবস্থানে আরও লোক বাড়িয়ে দেয় বিজেপি। বেলা সওয়া একটা নাগাদ রাস্তায় বসে অবস্থান শুরু করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়রা।

বুধবার  মধ্যরাতে বিজেপি রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে তেজস্বী সূর্য বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার প্রমাণ করতে চেষ্টা করবে বিজেপি বিশৃঙ্খল দল। কিন্তু তা যাতে না হয় সে ব্যাপারে যুব মোর্চার কর্মীরা সতর্ক থাকবে। কিন্তু মাঠের আন্দোলনে সেই নিয়ন্ত্রণ থাকে না। ফলে এদিনের কর্মসূচিতে পুলিশের দিকে যেমন উড়ে গিয়েছে আধলা ইট তেমনই ছোড়া হয়েছে ব্যাগে ভর্তি করে আনা পচা টমেটো, পচা ডিমও।