বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
কৃষ্টিয়া: রাজশাহীর জুয়েল মন্ডলকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। জুয়েল একছাদের নিচে ৪ বউ নিয়ে সংসার করছেন। আর কুষ্টিয়ার রবিজুল সংসার করছেন ৭ বউ নিয়ে। আছেন বেশ ভাল । ভাড়ায়চালিত প্রাইভেট কারের ব্যবসা রবিজুলের।
বাবা-ময়ের একমাত্র সন্তান তিনি । তার মা মানত করেছিলেন রবিজুলের জন্য ৭ বউ আনবেন। সেই মানত পালন করেছেন রবিজুল। ৭ বউ এবং পরিবারের অন্যদের নিয়ে তিনি থাকেন একই ছাদের তলায়। তাতে কোন সমস্যা হয় না। পারস্পরিক বোঝপরার ভিত্তিতে ভাল আছেন ৭ বউরা।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি গ্রামের মিয়াপাড়ার আয়নাল মন্ডলের ছেলে রবিজুল। লিবিয়াতে ছিলেন ১৫ বছর। দুই বছর আগে আসেন দেশে। ১৯৯৯ সালে প্রথম বিয়ে করেন। এরপর আরও ৬টি বিয়ে করেছেন তিনি। রবিউলের ৭ বউ হলেন: কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হালসা গ্রামের রুবিনা খাতুন (৩৫), একই উপজেলার গোস্বামী দুর্গাপুর এলাকার মিতা আক্তার (২৫), কিশোরগঞ্জের হেলেনা খাতুন (৩০), রাজশাহীর চাপাই এলাকার নুরুন নাহার (২৫), চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকার স্বপ্না (৩০), একই উপজেলার ডম্বলপুর এলাকার বানু আক্তার (৩৫) ও কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার রিতা আক্তার (২০)।
রবিজুলের সব বিয়েই সামাজিকভাবে জানাশোনার মাধ্যমে হয়। সঙ্গী হিসেবে পেতে প্রত্যেককে রবিজুল জানিয়েছিলেন, তার ঘরে বউ আছে। আগের স্ত্রীদের সম্মতিতে বিয়ে হয় তাদের। খোলামেলা আলোচনায় পাত্রীরা রাজি হন। তবে আর বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চান না তিনি।
একাধিক বিয়ে করার কারণ জানতে চাইলে রবিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি মা-বাবার একমাত্র ছেলে। আমার একটা সমস্যা ছিল। সেজন্য আমার মা মানত করেছিলেন যে, ছেলে বেঁচে থাকলে ৭ বউ আনবেন। মায়ের সেই মানত পূরণ করতে আমি সাতটি বিয়ে করেছি। এতে সবাই খুশি।’