Home আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ডামাডোলে উত্তাল জর্ডান

রাজনৈতিক ডামাডোলে উত্তাল জর্ডান

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

জর্ডানে ক্ষমতাসীন বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাকে উৎখাত করতে চাইছেন স্বয়ং যুবরাজ হামজা বিন হুসেইনি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রিন্সকে গৃহবন্দি করল জর্ডন সেনা। শুধু তাই নয়। বাদশাহ-অপসারণের চক্রান্তে হামজাকে মদত যোগাচ্ছেন অনেক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকও। যার জেরে আরও ২০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে বিবিসি সূত্রে জানা গিয়েছে।

প্রয়াত নবাব হুসেইনি এবং তাঁর মার্কিন বংশোদ্ভূত স্ত্রী নুরের ছোট ছেলে হামজা। যিনি সম্পর্কে বর্তমান বাদশাহ আবদুল্লার সৎ ভাইও বটে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকার-বিরোধী মন্তব্য করেছিলেন হামজা। বিবিসি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর দাবি, ওই মন্তব্যের শোধ নিতেই তাঁকে আটক করা হয়েছে। যদিও জর্ডন সেনা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাঁদের দাবি, প্রিন্স আদতে রাজাকে সরিয়ে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি এই চক্রান্তে বিদেশি শক্তি জড়িয়ে রয়েছে বলেও প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছে।

শনিবার অবশ্য গৃহবন্দি যুবরাজ একটি সাক্ষাৎকারে তাঁর বিবৃতি পেশ করেন। হামজা জানান, জর্ডানে বাড়তে থাকা দুর্নীতি নিয়ে বরাবরই মুখ খুলেছেন তিনি৷ তাই এবার তাঁকে চুপ করানোর চেষ্টা চলছে। আপাতত তাঁকে রাজভবনের ভেতরেই থাকতে হবে। বাইরের কোনও লোকজনের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎও কর‍তে পারবেন না বলে নিশ্চিত করেন তিনি। তবে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রিন্স হামজা। ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, কোনও ধরনের অন্যায় কাজে তিনি জড়িত নন। এমনকী বিদেশি কোনো ষড়যন্ত্রেও তাঁর হাত নেই। শুধু দেশের শাসন ব্যবস্থায় দুর্নীতির সমালোচনা করেছেন। এজন্যই তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি এদিন হামজা জোর গলায় বলেন, ‘সরকারের ভাঙন কিংবা দুর্নীতির জন্য আমি দায়ি নই। গত ১৫-২০ বছর ধরে দেশজুড়ে ব্যর্থতার রাজত্ব চলছে। আর যত দিন যাচ্ছে, সেটা ক্রমশ খারাপ চেহারা নিচ্ছে।’

এই পরিস্থিতিতে বার্তা দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে নেড প্রিন্স জানিয়েছেন, ‘জর্ডানের পরিস্থিতির দিকে নজর রয়েছে। বাদশাহ আবদুল্লা আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী। তাঁর প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’ পাশাপাশি বাদশাহ আবদুল্লাহর সমালোচকদের দমন-পীড়নে জর্ডানের পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও মিশর। তারা বাদশাহের সঙ্গে আগামীতে কাজ করারও আশ্বাস দিয়েছে।