মোঃসোহেল রানা, ঠাকুরগাঁও থেকে: ঠাকুরগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী দুটি নিদর্শন হলো রাণীশংকৈল উপজেলার রাজা টঙ্কুনাথের রাজ বাড়ি ও হরিপুর উপজেলার রাজবাড়ি।
রাজা টঙ্কুনাথের রাজ বাড়ি উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে নির্মান কাজ সম্পন্ন করেন রাজা টঙ্কুনাথ। তার স্ত্রী রাণী শঙ্করদেবীর নাম অমুসারে এই উপজেলার নামকরণ করা হয় রানীশংকৈল।পূর্বে রাজবাড়ীতে প্রবেশপথে দেখা যেত একটি মনোমুগ্ধকর সেতু, যা এখন আর নেই। সেখান থেকে একটু সামনে গেলেই দেখা মিলবে রাজা টঙ্কুনাথের ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ী। দেওয়ালে রয়েছে অনেক নিদর্শন ও টেরাকোটার কাজ যা এখন কালের বিবর্তনে বিলুপ্তির পথে। রাজবাড়ীর দরজা জানালা ও ছাদসহ বিভিন্ন টেরাকোটা অযত্নে ধ্বংসের দিকে ।
একই জরাজীর্ণ অবস্থা হরিপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হরিপুর রাজবাড়ী। ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে ঘনশ্যামকুণ্ডের বংশধর এই রাজবাড়িটি নির্মাণ করেন।শতাব্দি ধরে দাড়িয়ে থাকা এই রাজবাড়িটির এখন জরাজীর্ণ ভঙ্গুর অবস্থা। যেটি এখন মাদকসবীদের অন্যতম মাদক আখড়াতে পরিণত হয়েছে। রাতের আধারে মাদকসেবিরা চালায় তাদের মাদক সেবনের কার্যক্রম। অতি দ্রুত এই রাজবাড়িটিকে মাদকসেবীদের থেকে দূরে না সরানো গেলে এলাকার যুব সমাজ খারাপের দিকে ধাবিত হবে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।
রাজবাড়ীটির নিপুণ নির্মাণশৈলী দেখতে দূর দূরান্তে থেকে আসেন দর্শনার্থীরা। কিন্তু ভঙ্গুর অবস্থা দেখে হতাশ হয়ে ফিরছেন তারা। সংস্কার ও যথাযথ সংস্করণ হলে এই দু’টি রাজবাড়ী ঠাকুরগাঁও জেলার অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র হতে পারে বলে দাবি করছে সচেতন মহল।


ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, রাজাটঙ্কু নাথের রাজবাড়ীটি যথাযথ ভাবে সংস্কার ও সংরক্ষিত রয়েছে এবং হরিপুর রাজবাড়িটি সংস্করণ করা হয়নি। দ্রুত প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সাথে কথা বলে এটা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানালেন তিনি।