চুলে অল্প পাক ধরেছে। সাধারণ শাড়ি, সাজসজ্জা, বিত্তবৈভবের চিহ্নমাত্র নেই। কিন্তু দৃপ্ত মুখ ও উজ্জ্বল চোখদুটি বলে দেয় ইনি সাধারণ কেউ নন। মেধা, বুদ্ধিমত্তা ও পরিশ্রম মিলেমিশে গেছে তার শিরায় উপশিরায়। বয়স হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়েছে। এই মহিলাই এখন ভারতের তৃতীয় ধনীতম।
বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
চুলে অল্প পাক ধরেছে। সাধারণ শাড়ি, সাজসজ্জা, বিত্তবৈভবের চিহ্নমাত্র নেই। কিন্তু দৃপ্ত মুখ ও উজ্জ্বল চোখদুটি বলে দেয় ইনি সাধারণ কেউ নন। মেধা, বুদ্ধিমত্তা ও পরিশ্রম মিলেমিশে গেছে তার শিরায় উপশিরায়। বয়স হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়েছে। এই মহিলাই এখন ভারতের তৃতীয় ধনীতম।
তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে নিজের চেষ্টায় ধনসম্পদ অর্জন করা যায়। কোনওরকম সাহায্য ছাড়াই একাই আস্ত ব্যবসা দাঁড় করিয়েছেন ইনি। ভারতের প্রভাবশালী ও ধনীতম নারীদের মধ্যে সসম্মানে প্রথম স্থানটি ইনিই ধরে রেখেছেন।
নাম রাধা ভেম্বু। জোহো কর্পের সঙ্গে যাঁরা পরিচিত তাঁরা রাধা ভেম্বুর নাম আগেই শুনেছেন। বহুজাতিক সফটওয়্যার সংস্থা জোহো কর্প প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রাধা ভেম্বু ও তাঁর ভাইয়েরা। এই সংস্থার সবথেকে বড় স্টেকহোল্ডার হলেন রাধা। আর এই থেকেই তাঁর আয় আকাশ ছুঁয়েছে। এখন তিনি দেশের তৃতীয় ধনী মহিলা।
ভারতের নারীশক্তিদের কথা যদি বলা যায়, তাহলে রাধা ভেম্বুর নাম আসবেই। নিজের ক্ষমতা ও পরিশ্রমে সবথেকে ধনী মহিলা ইনিই। শোনা যায়, তৃণমূল স্তর থেকে কোটিপতির এই যাত্রায় তাঁর কোনও গডফাদার ছিল না। সবটাই করেছেন নিজের চেষ্টায়। ফোর্বসের রিয়েল টাইম রিচ লিস্ট অনুযায়ী, ভেম্বুর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩৬ হাজার কোটিরও বেশি।
সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারেই ১৯৭২ সালে জন্ম রাধা ভেম্বুর। বাবা মাদ্রাজ হাইকোর্টে স্টেনোগ্রাফারের কাজ করতেন। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি মাদ্রাজ থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে স্নাতক করেন তিনি। পড়াশোনা চলাকালীনই ভাই শ্রীধর ভেম্বু ও সেকর ভেম্বুর সঙ্গে মিলে ১৯৯৬ সালে এই সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
জোহো মেলের প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে ২৫০ জনের একটি টিম সামলান রাধা। চেন্নাইতে এই সংস্থার একটি মূল শাখা রয়েছে। জোহো কর্পের মূল অফিস টেক্সাসের অস্টিনে। বিশ্বের মোট ৯টি দেশে এই সংস্থার শাখা রয়েছে।
এর পাশাপাশি জনসেবামূলক কাজের সঙ্গেও যুক্ত রাধা। তিনি জানকি হাই-টেক অ্যাগ্রো প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কৃষি এনজিওর পাশাপাশি হাইল্যান্ড ভ্যালি কর্পোরেশন প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থার পরিচালকও।