আবদুল জলিল, খাগড়াছড়ি থেকে: নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, রামগড় স্থলবন্দর চালু হলে দুই দেশের মানুষের জীবন যাত্রার মান পাল্টে যাবে। রামগড় -সাব্রুম সীমান্তে ইমিগ্রেশন চালু করার ব্যাপারে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে। তা ফলপ্রসূ হলে পুনরায় রামগড়-সাব্রুম সীমান্তে ইমিগ্রেশন চালু হবে।
খাগড়াছড়ির রামগড় ও ভারতের ত্রিপুরার সাথে স্থলবন্দর চালুর লক্ষ্যে অধিগ্রহণ করা ভূমি পরিদর্শনে এসে সোমবার এক মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মহামুনি এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু সংলগ্ন প্রস্তাবিত বন্দর এলাকা পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মহামুেদ চৌধূরী।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষেরর চেয়ারম্যান রামগড় পৌঁছলে পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল ও বন্দর কর্তৃপক্ষ স্বাগত জানান। পরে, তারা বন্দরের জন্য নির্ধারিত স্থানের জমি অধিগ্রহণ ও বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ কাজের অগ্রগতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
মৈত্রী সেতু সংলগ্ন এলাকায় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে বিস্তারিত অবহিত করেন প্রকল্প পরিচালক সরোয়ার হোসেন।
এ সময় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন,আমরা একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছি। শুধু ব্যাবসা-বাণিজ্য নয় ভারতের সাথে আমাদের আন্তরিকতার সম্পর্ক বিদ্যমান । মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে পাশে ছিলো।
স্থলবন্দর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, রামগড় স্থল বন্দরকে কেন্দ্র করে পুরো চট্টগ্রামের দৃশ্যপট পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। বন্দরকে কেন্দ্র করে সড়ক সংস্কার হতে শুরু করে একাধিক বড় সেতু তৈরি হচ্ছে। স্থল বন্দর চালু হলে স্থানীয় মানুষদের জীবনযাত্রার মান অভাবনীয় পরিবর্তন হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, রামগড় ৪৩ বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্ণেল আনোয়ারুল মাজহার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মোহাম্মদ ইখতেয়ার উদ্দীন আরাফাত, রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল, রামগড় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোস্তফা হোসেন ও রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুজ্জামান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, রামগড়ে স্থলবন্দর চালুর লক্ষ্যে রামগড়ের মহামনি সীমান্তে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু-১ চালু হয়েছে। গত বছরের ৯ মার্চ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চ্যুয়ালি এর উদ্বোধন করেন। ভারতের অর্থায়নে ১১০ কোটি টাকা ব্যায়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণে এবছরের ১০ই জানুয়ারি ১২৫ কোটি টাকা ব্যায় নির্ধারণ করা হয়। ২০২৪সালের মধ্যে নির্মাণ কাজ বুঝিয়ে দিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মনিকো লিমিটেডকে দায়িত্ব দেয় স্থল বন্দর কতৃপক্ষ।