বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে শামিল হচ্ছে আরও একটি দেশ। সেটা হচ্ছে বেলারুশ। দেশটি আগেই সমর্থন করেছিল রাশিয়াকে। সোমবার জানা গেছে যে দেশটি রাশিয়াকে সাহায্য করার জন্য সেনা পাঠাবে।
বেলারুশের সেনা ঘাঁটি থেকে ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। তবে এখনও পর্যন্ত বেলারুশের সেনা সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেয়নি।
বেলারুশে ইউক্রেন ও রাশিয়ার আলোচনা শুরু হতে পারে। একটি ‘নিরপেক্ষ অঞ্চলে’ দুই দেশের বৈঠকের ব্যবস্থা করেছে রুশ সরকার। সোমবার সকালে রাশিয়ার দূত বেলারুশের গোমেল শহরে পৌঁছেছেন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ইউক্রেনের দূত এখনও সেখানে পৌঁছননি। গোমেল শহরের বৈঠকে কী ফল হয়, তার জন্য অপেক্ষা করছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। যদি কোনও ইতিবাচক ফল না হয়, তাহলে তিনি ইউক্রেনে সেনা পাঠাবেন।
রবিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁদের পরমাণু অস্ত্রগুলি তৈরি রাখতে নির্দেশ দেন। এরপরেই ইউক্রেন জানায়, তারা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় রাজি। এর আগে ইউক্রেন বেলারুশে শান্তি বৈঠকে বসতে অস্বীকার করেছিল। কারণ বেলারুশ রাশিয়ার মিত্র দেশ। কিন্তু রবিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলিনস্কি বেলারুশে বৈঠকের জন্য প্রতিনিধি পাঠাতে রাজি হন।
আমেরিকার দাবি, ইউক্রেনে শক্ত প্রতিরোধের মুখে পড়েছে রুশ সেনা। সেদেশের বেশ কয়েকটি বড় শহর থেকে রাশিয়াকে হটিয়ে দেওয়া গিয়েছে। কিয়েভেও এখনও রুশ সেনা ঢুকতে পারেনি। কিন্তু রাজধানীতে অন্তর্ঘাত চালানোর জন্য ছদ্মবেশে ঢুকে পড়েছে রুশ সেনার একাংশ। তাদের সঙ্গে এখন ইউক্রেনের বাহিনীর জোর লড়াই চলছে।
ইউক্রেনে জোরালো প্রতিরোধের মুখে পড়েছে রাশিয়ার ফৌজ। তাদের অস্ত্রশস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম পেতে সমস্যা হচ্ছে। আকাশপথেও তেমন সুবিধা করতে পারেনি রুশ সেনা। মস্কো থেকে স্বীকার করা হয়েছে, তাদের বেশ কয়েকজন সেনা হতাহত হয়েছে।
ইউক্রেনের দাবি, তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ থেকে রুশ সেনাকে হটিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজধানী কিয়েভও এখন ইউক্রেনের সেনার দখলে রয়েছে। কিয়েভে অন্তর্ঘাত চালানোর জন্য ছদ্মবেশে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে রুশ সেনা। রাজধানীতে এখন তাদের সঙ্গেই রুশ সেনার লড়াই চলছে।
জাতিসংঘের উদ্বাস্তু সংক্রান্ত দফতর জানিয়েছে, রুশ সেনার ভয়ে হাজার হাজার মানুষ যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে পালাচ্ছেন। তাঁদের বেশিরভাগ সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকেছেন পোল্যান্ডে। ইউক্রেনের মোট চার লক্ষ নাগরিক ওই দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। আরও অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, মলডোভা ও স্লোভাকিয়ায়। পোপ ফ্রান্সিস আবেদন জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষ যাতে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরে আসতে পারেন, সেজন্য বিশেষ করিডোরের ব্যবস্থা করা হোক।