রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি কমে গেছে ব্যাপকভাবে। শুল্কায়নে অতিরিক্ত ব্যয়, ব্যাংকঋণ প্রবাহ হ্রাস এবং অর্থনীতিতে কাঙ্খিত গতি না থাকাকে এর কারণ বলে জানিয়েছেবাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)।
শনিবার রাজধানীতে বিজয়নগরে আকরাম টাওয়ারেএক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের ব্যবসার সামগ্রিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন বারভিডার নেতারা। সংগঠনের সভাপতি আবদুল হক লিখিত বক্তব্যে বলেন, পুরনো গাড়ির আমদানি ব্যাপকভাবে কমে গেছে। যে কারণে এ খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আয়ও কম হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) ৩ হাজার ৪৩৮টি পুরনো গাড়ি আমদানি হয়েছে; যা থেকে সরকার ৬৮৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা রাজস্ব পেয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১২ হাজার ৫০২টি এবং তার আগের ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২৩ হাজার ৭৫টি পুরনো গাড়ি আমদানি হয়েছিল। তিনি বলেন, নতুন ও পুরনো গাড়ি আমদানির শুল্কায়নে নীতিমালা থাকা দরকার। নতুন ও পুরনো গাড়ির মোট কর আরোপের ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে। জাপান থেকে আমদানি করা পুরনো গাড়ির শুল্কায়ন করা হয় ওই দেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্পবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন জাপান অটো অ্যাপ্রাইজাল ইনস্টিটিউটের প্রতি মাসে প্রকাশিত ইয়েলো বুকে নতুন গাড়ির যে দাম দেওয়া হয়, তার ওপর ৩৫ শতাংশ অবচয় বাদ দিয়ে। কিন্তু ইয়েলো বুকে পুরনো গাড়ির মাসিকভিত্তিক বাজার দর থাকলেও সরকার তা বিবেচনায় নিচ্ছে না। তিনি বলেন, আগে গাড়ির দামে ট্রেড ডিসকাউন্ট দেওয়া হতো, যা এখন দেওয়া হয় না। অন্যদিকে দুই বছর আগে অবচয় হিসেবে নতুন গাড়ির দাম থেকে ৪৫ শতাংশ বাদ দেওয়া হতো। বর্তমানে তা ৩৫ শতাংশে নামানো হয়েছে। ফলে গাড়ির দাম বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, শুল্কায়নের কারণে গাড়ির আমদানি ব্যয় অনেক বেড়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আশা অনুযায়ী দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ায়নি। আবার গাড়ি কিনতে আগের মতো ব্যাংকঋণও পাওয়া যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে পুরনো গাড়ির বিক্রি অনেক কমে গেছে।