- অব্যয়িত সমূদয় অর্থ ফেরত দেয়া হয়েছে: প্রধান শিক্ষক
- পরীক্ষার্থী জয়া চাকমা, নয়ন বিকাশ চাকমা, সমাপ্তি চাকমা ও স্বরনিকা চাকমা সহ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, ফরম পূরণের অব্যয়িত কোন অর্থ তারা ফেরত পাননি৷
আবদুল জলিল, খাগড়াছড়ি থেকে: ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত পরিসরে গ্রহণের সিদ্ধান্তের পর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ ফেরত দিয়েছে ফি বাবৎ গৃহীত অর্থের অব্যয়িত অংশ। প্রত্যেক বিদ্যালয়ের ব্যাংক একাউন্টে সেই অর্থ জমা করা হয়। প্রবেশ পত্র বিতরণের সময় সেই অর্থ পরীক্ষার্থীদের ফেরত প্রদানের নির্দেশনা ছিল বোর্ড থেকে। কিন্তু দীঘিনালার উত্তর রেংকায্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের সেই অর্থ ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অবশ্য প্রধান শিক্ষক দাবি করেছেন যে অভিযোগ সত্য নয়, সমূদয় অর্থ তিনি ফেরত দিয়েছেন।
তত্ত্বীয় পরীক্ষা, ব্যবহারিক পরীক্ষা এবং কেন্দ্র ফি বাবৎ আদায় করা অর্থের অব্যয়িত অংশ ফেরত দিয়েছে চট্টগ্রাম বোর্ড। গত ৯ নভেম্বর থেকে প্রবেশ পত্র বিতরণকালে তা পরীক্ষার্থীদের ফেরত দেয়ার নির্দেশ ছিল। কিন্তু আলোচ্য বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের অর্থ ফেরত পায়নি।
উত্তর রেংকার্য্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের অব্যয়িত ২৩ হাজার ৩৬০ টাকা ফেরত পাওয়ার কথা।
বিদ্যালয়টির ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী জয়া চাকমা, নয়ন বিকাশ চাকমা, সমাপ্তি চাকমা ও স্বরনিকা চাকমা সহ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, ফরম পূরণের অব্যয়িত কোন অর্থ তারা ফেরত পাননি৷ এমনকি ফরম পূরণ বাবদ প্রত্যেককে ২ হাজার ৯০০ টাকা হতে ৬ হাজার টাকা প্রদান করতে হয়েছে৷ অবিলম্বে টাকা ফেরত না পেলে বিষয়টি চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড এবং দূদককে অবহিত করার কথা জানালেন কয়েকজন অভিভাবক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তর রেংকার্য্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জ্ঞান চাকমা জানান, ফরম পূরণের অব্যয়িত অর্থ শিক্ষার্থীদের ফেরত দেওয়ার বিষয়ে তিনি অবগত নন। এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি ভাল জানবেন।
বিদ্যালয়টির সভাপতি আশিষ চাকমার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এবিষয়ে অবগত নন বলে জানান। তার অজ্ঞাতে, সভাপতির স্বাক্ষর ব্যতীত কিভাবে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক এ বিষয়ে জানেন৷
উত্তর রেংকার্য্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উষা আলো চাকমার কাছে অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন যে বিদ্যালয়ে ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের অব্যয়িত সমূদয় অর্থ ফেরত দেয়া হয়েছে৷ ফেরতের সকল তথ্য আছে। এসময় তিনি মুঠোফোনে বিদ্যালয়টির সভাপতি আশিষ চাকমাকে ধরিয়ে দিলে তিনি জানান, অব্যয়িত অর্থ ফেরতের সময় তিনি সভাপতি ছিলেননা।
দীঘিনালা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলবো৷ এবিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খাগড়াছড়ি জেলা শিক্ষা অফিসার উত্তম খীসা জানান, ২০২১ সালের এসএসসি পরিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের অব্যয়িত টাকা ফেরত দিয়েছে চট্টগ্রাম বোর্ড। কোন বিদ্যালয়ে টাকা ফেরত না দেওয়ার বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। তবে বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলবো৷