Home Second Lead রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ: খালাস পেলেন সাফাতরা

রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ: খালাস পেলেন সাফাতরা

ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: রাজধানী বনানীর রেইনট্রি হোটেলে আলোচিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার তাদের খালাসের রায় দেন। এর আগে দুপুর ১টা ১০ মিনিটে এ মামলার রায় পড়া শুরু করেন বিচারক।

গত ২৭ অক্টোবর মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদারের মৃত্যুতে ঢাকা নিম্ন আদালতের সব বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এর ফলে রায়টি দ্বিতীয়বারের মতো পিছিয়ে ১১ নভেম্বর করা হয়েছে।
  সে সময়ে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
  এর আগে, গত ১২ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। তবে বিচারক অসুস্থ থাকায় পরবর্তী রায় ঘোষণার জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক ২৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
  তারও আগে ৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১২ অক্টোবর দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। সে দিন আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
  মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাফাতের দুই বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিম ও সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলী। আসামিদের মধ্যে শুধু রহমত আলী ছাড়া বাকি সবাই ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

  প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ বনানীর ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে ওই দুই তরুণীকে নিয়ে আসা হয়। উপর্যুপরি মদ খাওয়ানোর পর ওই দুই তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়।
  আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রথম দিকে মামলা নেয়নি পুলিশ। পরে সে বছরের ৬ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে ভুক্তভোগী এক ছাত্রী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
  মামলায় ওই পাঁচজনকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে ওই বছরের ৮ জুন ঢাকা মহানগর পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পুলিশ পরিদর্শক ইসমত আরা এমি পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন।
  একই বছরের ১৩ জুলাই পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে মামলায় চার্জগঠন করেন আদালত। এরপর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে তা শেষ হয় ২২ আগস্ট।

-সূত্র সময় নিউজ