বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: কর্ণফুলীর নদীর সাথে সংযুক্ত ৫টি খালের মুখে রেগুলেটর (স্লুইচ গেইট) বসানোর প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছরের মে মাসে নেদারল্যান্ডের রেগুলেটরগুলো বসিয়ে দিলে জোয়ারের পানি আটকে দিবে গেইটগুলো। এতে করে নগরীর বুক চিরে বয়ে যাওয়া কলাবাগিচা, মরিয়ম বিবি, টেকপাড়া, ফিরিঙ্গিবাজার, মহেশখাল দিয়ে এবারের বর্ষায় জোয়ারের পানিও ঢুকতে পারবে না শহরে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের সুফল পাবে নগরবাসী।
যদিও ,কোভিড পরিস্থিতির কারণে এ প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট মেয়াদে শেষ না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতিও বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বরাদ্দ অনুযায়ী অর্থ না পাওয়ার ফলে। বাধাগ্রস্থ হচ্ছে ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া। আর্থিক সংকটের কারণে প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’র কর্মকর্তারা ‘অসহায়ত্ব’ প্রকাশ করেছেন।
করোনায় এই আর্থিক জটিলতা কাটিয়ে জলবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে গতি আনতে বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সাথে একটি বৈঠকও করেছে সিডিএ।
জলবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ পরিচালনা করছে সিডিএ। এ প্রকল্পের একটি অংশ বাস্তবায়নে চুক্তি হয়েছে সেনাবাহিনীর সঙ্গে। অর্থাৎ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর এ প্রকল্পটির একটি অংশ বাস্তবায়নের কাজ করছে।
সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস জানান, ‘প্রকল্পের কাজ তখনই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় যখন প্রকল্পে আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকে। বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সাথে মিটিংয়ে আমরা বিষয়টি তুলে ধরেছি। অন্যান্য প্রকল্পের চেয়েও জলবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পকে যেন অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।’
অন্যদিকে বাস্তবায়নকারী সংস্থা সেনাবাহিনী-৩৪ ইসিবি’র প্রকল্প পরিচালক লে. কর্ণেল শাহ আলী জানান, এখন পর্যন্ত প্রকল্পের প্রকল্পের ৫০ শতাংশ সামগ্রিক অগ্রগতি হয়েছে । নগরীর ৫টি খালের মুখে রেগুলেটর বসানোর কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। এ রেগুলেটরগুলোর স্ট্রাকচার (অবকাঠামোর) কাজ শেষ হয়েছে। মোট কথা প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজটুকু সম্পন্ন করতে পারলে এ ৫টি খাল দিয়ে আগামী বর্ষায় জোয়ারের পানি ঢোকার সম্ভাবনা নেই।
জানা গেছে, একনেকে শর্ত সাপেক্ষে ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট এ ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে ‘নানা জটিলতায়’ প্রকল্পটি কিছু দিন থমকে থাকে। এরপর সিডিএর নেওয়া এ মেগা প্রকল্পের নির্মাণকাজ বাস্তবায়নে ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিডিএর সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পরে একই বছরের ২৮ এপ্রিল থেকে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ শুরু করে।