বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি শুরু হয়েছে।
প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিশিষ্ট সমাজ বিজ্ঞানী ড. অনুপম সেনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সাথে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবিরা তা তৈরি করছেন। অবশ্য এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইশতেহারে মরহুম জননেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ১৭ বছরের মেয়র থাকাকালে গৃহীত কর্মসূচির ছায়া থাকবে।
রেজাউল করিম চৌধুরী জানিয়েছেন, মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রামকে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করেছেন। নির্বাচিত হলে এই মডেল সিটির পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে। ১৯৯৪ সাল থেকে টানা ১৭ বছর সিটি মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছিলেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। এসময় তিনি সিটি কর্পোরেশনের অধীনে বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাতৃস্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান ‘মেটারনিটি হাসপাতাল’ চালু করেছিলেন। দেশের সিটি কর্পোরেশনগুলোর মধ্যে চট্টগ্রামে প্রথম শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবার এসব কর্মসূচি নেয়া হয়। পরবর্তী দুই মেয়র মনজুর আলম এবং আ জ ম নাছির উদ্দিনও এসব কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছিলেন।
মেয়র প্রার্থী রেজাউল বললেন, নগরীতে যাতায়াত, জলাবদ্ধতা এবং পরিচ্ছন্নতা নিয়ে মানুষের মধ্যে আলোচনা বেশি, স্বাভাবিকভাবে নির্বাচিত হলে এসব সমস্যার সমাধান করার আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে।
মহিউদ্দিন চৌধুরীর রাজনৈতিক শিষ্য ছিলেন রেজাউল । তাছাড়া এবারের আওয়ামী লীগের মেয়র মনোনয়নে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
রেজউল মনে করেন, মেয়র থাকাকালে মহিউদ্দিন চৌধুরী বহু যুগান্তকারি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। সেই আদলে কর্পোরেশন পরিচালিত হলে তা চট্টগ্রামবাসীর সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হবে। তবে, বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের নেয়া সৌন্দর্য বর্ধন প্রকল্পসহ আরো কিছু পদক্ষেপ আছে যেগুলো তিনি নির্বাচিত হলে অব্যাহত রাখবেন বলে জানান ।
ড. অনুপম সেন জানান, বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে, নিজদের মধ্যে আলাপ আলোচনা চলছে। ইশতেহারে সবার সব ভালো বিষয়গুলো থাকবে, মূল উদ্দেশ্য হবে চট্টগ্রামকে একটি সুন্দর নগরী হিসেবে গড়ে তোলা।
গত সপ্তাহ থেকে মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্বাচনী প্রচারণার কৌশল নির্ধারণ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েক দফা বৈঠকও হয়েছে। তাতে জনগনের কাছে ভোট চাওয়ার ক্ষেত্রে কি কৌশল হতে পারে তার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে মাঠের নেতা- কর্মীদের। এই প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট সা্বেক ছাত্রলীগ নেতা ও লেখক- গবেষক ড. মাসুম চৌধুরী মনে করেন, এখন পর্যন্ত মহিউদ্দিন চৌধুরীর ১৭ বছরের মেয়াদকাল ছিলো সিটি কর্পোরেশনের সবচেয়ে উজ্জ্বল সময়। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন কিভাবে কর্পোরেশনের সেবা জনগনের দোরগোড়ায় পৌছানো যায়। দলমতের উর্ধ্বে উঠে সবাই এটা এখন স্বীকার করছে।
কর্পোরেশনের কর্মকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত নয় এমন বিশেষজ্ঞদেরকে নিয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরী উপদেষ্টা কাউন্সিল গঠন করেছিলেন। এই কাউন্সিলের মতামত নিয়ে পরিচালিত হতো কর্পোরেশন, এবারও এ রকম কিছু করা যায় কিনা তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে বলে জানান মাসুম চৌধুরী।
আগামী ২৮ মার্চ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন। মেয়র এবং ৪১টি কাউন্সিলর পদ ও ১৪টি মহিলা কাউন্সিলর পদে নির্বাচন আনুষ্ঠিত হবে।