বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: মেইন লাইন অপারেটর ( এমএলও ) সিএমএ সিজিএম কর্তৃক চট্টগ্রাম বন্দরমুখী রেফ্রিজারেটেড কন্টেইনারে আরোপিত কনজেশন সারচার্জ প্রত্যাহার হলো প্রায় ৩ মাস পর।
বন্দর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় সিএমএ সিজিএম তা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। ৬ জুলাই থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরমুখী পচনশীল পণ্যভর্তি হিমায়িত (রেফ্রিজারেটেড) কন্টেইনারে এই সারচার্জ আরোপ করা হয়েছিল ৮ এপ্রিল থেকে। তা ছিল প্রতি কন্টেইনারে ১৩০০ ডলার । স্বাভাবিক ফ্রেইটের ওপর তা যোগ হয়।
শিপিং সংশ্লিষ্টরা জানান, সিএমএ সিজিএম যখন ঐ সারচার্জ আরোপ করে তখন বন্দর পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত খারাপ, একেবারে প্রায় অচলাবস্থা। কমলা, আপেল, আঙুর, মাছ, রসুন-পিয়াজ, কাঁচামরিচসহ বিভিন্ন পচনশীল পণ্যে ভর্তি কন্টেইনারগুলো সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সংযোগে রাখতে হয়। ২৬০০ প্ল্যাগ পয়েন্ট আছে বন্দরে এগুলোর জন্য। কোন প্ল্যাগ পয়েন্ট খালি ছিল তখন। এ কারণে জাহাজ থেকে কন্টেইনার নামানো ব্যাহত হয়েছে।
জাহাজের ডেকের ওপর থাকে রেফ্রিজারেটেড কন্টেইনারের প্ল্যাগ পয়েন্ট। সেখানে থাকে কন্টেইনারগুলো। তাই জাহাজ থেকে এগুলো খালাস করে তারপর খোলা যায় হ্যাচ কভার। নতুবা তা খোলা যায় না এবং অন্য সব কন্টেইনার আটকে থাকে। সাধারণত প্রত্যেক জাহাজে ৮০ থেকে ১০০, এমন কি কোন কোন জাহাজে দেড় শ’ পর্যন্ত থাকে রেফ্রিজারেটেড কন্টেইনার।
পরিস্থিতি সামাল দিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ তখন স্বাভাবিকের ওপর ৪ গুণ হারে দণ্ডভাড়া আরোপের ঘোষণা দেয়।
শিপিং সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, কেবল রেফার কন্টেইনার নয়, সবকিছু নিয়ে মহাসংকটে ছিল চট্টগ্রাম বন্দর। কন্টেইনার খালাস, শিপমেন্ট, ডেলিভারি সবক্ষেত্রে ছিল ভয়াবহ রকমের অচলাবস্থা। রিয়ার এডমিরাল শেখ মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ঠিক তখন ৪০তম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।বন্দর প্রশাসন অত্যন্ত দক্ষতায় অচলাবস্থা নিরসন করে সবার প্রশংসা অর্জন করেছে। পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হওয়ায় সিএমএ সিজিএম কর্তৃক চট্টগ্রাম বন্দরমুখী রেফ্রিজারেটেড কন্টেইনারে আরোপিত কনজেশন সারচার্জ প্রত্যাহার করে নিয়েছে।