Home First Lead রেলওয়াগন সংকটে কন্টেইনার পাঠানো ব্যাহত

রেলওয়াগন সংকটে কন্টেইনার পাঠানো ব্যাহত

ফাইল ছবি

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম: আড়াই মাস ধরে রেলওয়াগন সংকটে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকা আইসিডিতে কন্টেইনার পাঠানো ব্যাহত হচ্ছে।

ঢাকামুখী প্রায় ২৪০০ টিইইউস কন্টেইনার বন্দরে পড়ে আছে। ঢাকা আইসিডিতে যাবে এমন আরও ৫০০ টিইইউস জাহাজ থেকে অবতরণের অপেক্ষায়। সব কন্টেইনার আমদানিপণ্য বোঝাই।

জাহাজ থেকে নামানের পর ১০ দিন পর্যন্ত বন্দরে আইসিডি ইয়ার্ডে পড়ে থাকে। দিনে দিনে এই সময় আরও বাড়ছে বলে জানালেন ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, ডিসেম্বর শেষদিক থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে পর্যাপ্ত ওয়াগন সরবরাহ করতে পারছে না। প্রতিদিন যে পরিমাণ ঢাকামুখী কন্টেইনার জাহাজ থেকে নামছে সেগুলো পাঠানোর জন্য যে সংখ্যক ওয়াগন প্রয়োজন তা পাওয়া যাচ্ছে না রেলওয়ে থেকে। প্রতিদিন দরকার ২০০ টিইইউস কন্টেইনার ঢাকায় পাঠানো। এরজন্য প্রয়োজন কমপক্ষে ৮টি ট্রেন। আর ট্রেন যায় কোনদিন ৩টি, কোনদিন ৬টি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আইসিডি ইয়ার্ড থেকে ৩ টি ট্রেনে ৪৭ টিইইউস, ২৪ ফেব্রুয়ারি ৫টি ট্রেনে ১৩৭ টিইইউস, ২৫ ফেব্রুয়ারি ৬টি ট্রেনে ১৬৩ টিইইউস, ২৬ ফেব্রুয়ারি ৬টি ট্রেনে ১৫৪ টিইইউস, ২৭ ফেব্রুয়ারি ৬টি ট্রেনে ১২৪টিইইউস এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি ৫টি ট্রেনে ৯৫ টিইইউস কন্টেইনার গেছে ঢাকায়। পর্যাপ্ত ওয়াগন এবং ট্রেন সংকটেপ্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ঢাকাগামী কন্টেইনারের জট ।

বন্দরের ট্রাফিক বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দ্রুততম সময়ে ঢাকায় কন্টেইনার পরিবহনের জন্য পর্যাপ্ত খালি ওয়াগন এবং ট্রেন সরবরাহের অনুরোধ জানিয়ে ৭ দফায় পত্র দেয়া হয়েছে গত দু’মাসে। তারপরও বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছে থেকে প্রত্যাশিত সাড়া মেলেনি।

বন্দর কর্তৃপক্ষ চলমান সংকটের জন্য রেলওয়েকে দায়ি করলেও রেল কর্মকর্তারা দায়ি করেছেন বন্দরকে। জানিয়েছেন, কমলাপুর আইসিডিতে ওয়াগন থেকে কন্টেইনার দ্রুত আনলোড, লোড করতে পারছে না। সেখানে রয়েছে ইকুইপমেন্ট সংকট। অতিরিক্ত সময় সেখানে অপেক্ষা করতে হয়। এতে বেড়ে যাচ্ছে টার্ন এরাউন্ড টাইম। পর্যাপ্ত ওয়াগন ও ট্রেন সরবরাহকে তা ব্যাহত করছে। জানান, যথাসময়ে কন্টেইনার নামিয়ে ট্রেন খালি করতে না পারলে কলটাইম (পূর্ব ঘোষিত ট্রেন ছাড়ার সময়) পেছাতে হয়। নতুন করে কলটাইম দেওয়া হয়, তখন নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছতে পারে না।

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যেসব কন্টেইনার ঢাকায় যায় তার ৭০ শতাংশই যায় রেলপথে। নিরাপদ এবং পরিবহন খরচ কম হওয়ায় ব্যবসায়ীরা রেলপথে তাদের পণ্য নিয়ে যেতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন।