বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: ট্রেনের টিকিট চলে যায় কালোবাজারিদের হাতে। যাত্রীদের কাউন্টারে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়। কয়েকগুণ দামে টিকিট কিনতে হয় কালোবাজারিদের কাছে থেকে। বছরের পর তা চলছে। তবে, তা আর নয়। শিগগির তার অবসান হতে চলেছে। এমন আভাস দিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়র অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন।
টিকিটের কালোবাজারি বন্ধ করতে কত রকমের কত কিছুই না করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোন সুফল মেলেনি। কালোবাজারিদের সঙ্গে যোগসাজশ থাকার অভিযোগে সিলেট স্টেশনের ছয় বুকিং সহকারীসহ আটজনকে রেলের পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহীতে এবং একই সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চল থেকে সাতজনকে পূর্বাঞ্চলে বদলি করা হয়েছিল গত ডিসেম্বরে। এ রকম আরও অনেক কিছু করেও রোধ হয়নি কালোবাজারি।
রেলপথ মন্ত্রণালয়র অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন কিছুক্ষণ আগে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, রেল আইন, ১৮৯০ এর ১১৪ ধারায় টিকিট হস্তান্তর শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কেবল এই ধারাটি প্রয়োগ করা হবে। তাতে কালোবাজারি বন্ধ হয়ে যাবে। যার নামের টিকিট, তাকেই ভ্রমণ করতে হবে এবং অনবোর্ড অর্থাৎ ট্রেনে যাত্রীর আইডেন্টিটি প্রদর্শন করতে হবে। এরজন্য সঙ্গে রাখতে হবে জাতীয় পরিচয় পত্র। সবাইকে অনলাইনে আবার রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে এনআইডি নাম্বার দিয়ে। এনআইডি সার্ভার ভেরিফাই করে ওকে করলে একটা পিন নাম্বার (আইডেন্টিক্যাল) পাওয়া যাবে। এটা দিয়েই টিকিট করতে হবে। সামান্য সময়ের মধ্যেই আইডি ভেরিফাই হয়ে যাবে। রেল, এজন্য নির্বাচন কমিশন এনআইডি সার্ভারের সাথে সংযুক্ত (হুক আপ) করতে হবে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সাথে কথা বলেছেন অতিরিক্ত সচিব। তাদের সার্ভারের মোট ক্ষমতার মাত্র ২০% এখন ব্যবহার হচ্ছে। ৮০% অব্যবহৃত। কাজেই লাখ লাখ হিট একসাথে হলেও সার্ভার হ্যাং হবে না।
১২ থেকে ১৮ বছরের নিচে যাদের এনআইডি নেই, তারা রেজিষ্ট্রেশন করবেন জন্ম সনদ দিয়ে। পিন নাম্বার পেলে তা হবে আইডি নাম্বার টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে।
নতুন ব্যবস্থা কার্যকর হলে ট্রেনে এনআইডি বা জন্ম সনদের অরিজিনাল কপি দেখাতে হবে। যদি না মেলে তবে জরিমানা দিতে হবে। পারিবারিক ভ্রমণে যে কোন একজনের নামে টিকিট হবে এবং তাঁকে এনআইডি সাথে রাখতে হবে। দেখাতে না পারলে টিকিটে যতজনের নাম আছে তত জনকে জরিমানা গুনতে হবে।