বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশ রেলওয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। একইসাথে যুক্তরাষ্ট্রের উন্নত প্রযুক্তি এদেশের রেলওয়েতে কিভাবে যুক্ত করা যায় তা দেখার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
বুধবার (১০ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে রেলভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এসব কথা জানান রেলমন্ত্রী। সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে সহযোগিতা করতে পারে সে-সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
আলোচনার মধ্যে নতুন একটি প্রস্তাব এসেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রেলের যেসব অবকাঠামো আছে যেমন, রেলের এক লাইন থেকে ডাবল লাইন করা এবং রেল ট্র্যাকগুলো আরও আধুনিকায়ন করা যাতে দ্রুতগতিতে ট্রেন চলতে পারে। একইসাথে রেল ট্র্যাক মেনটেনেন্সের জন্য আধুনিক যেসব যন্ত্রপাতি আছে সেগুলো যেন আমেরিকা থেকে নিতে পারি সেসব বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে।
রেলপথ মন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ৪০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ বিষয়ে উল্লেখ করে জানান, পাঁচটি লটে ৪০টি লোকোমোটিভ বাংলাদেশ আসবে। ইতোমধ্যে প্রথম লটের আটটি বাংলাদেশে চলে এসেছে।
এছাড়া, দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম যে ১০০টি লোকোমোটিভ বাংলাদেশে সরবরাহ করবে সেগুলোও আমেরিকার একই কোম্পানি প্রগ্রেস রেল যন্ত্রপাতি সরবরাহ করবে। এ সব লোকোমোটিভ চালানোর জন্য দক্ষ জনবল তৈরির জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়াসহ এসবের যন্ত্রাংশ যাতে সহজেই পাওয়া যায় সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।
একইসাথে যুক্তরাষ্ট্রের উন্নত প্রযুক্তি এদেশের রেলওয়েতে কিভাবে যুক্ত করা যায় তা দেখার জন্য মন্ত্রী আহ্বান জানান।
রেলমন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশের রেলওয়ের অবকাঠামো সমস্যা তুলে ধরে বলেন, ডাবল লাইন নির্মাণ করা খুবই জরুরি। রেলওয়ের ডাবল লাইন নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমেরিকার ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে রেলওয়েতে বিনিয়োগের বিভিন্ন ক্ষেত্র খতিয়ে দেখতে পারে। তিনি এদেশে যাত্রীবাহী কোচ ও লোকোমোটিভ কারখানা নির্মাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এ সভায় আরও দশটি লোকোমোটিভ একই দামে আমেরিকার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান প্রগ্রেস রেল থেকে কেনার বিষয়ে আলোচনা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল এসব বিষয়ে ইতিবাচক আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সভায় বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে ইকোনোমিক অফিসার জেফরি ডির্কস উপস্থিত ছিলেন। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচলক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার সহ ঊর্ধ্বতন কয়েক জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।