রৌমারী (কুড়িগ্রাম) থেকে সংবাদদাতা : রৌমারী স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় কর্মহীন বিপুল শ্রমিক মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হচ্ছে পাথর আমদানি না হওয়ায় । অন্যদিকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। স্থলবন্দর দিয়ে গড়ে প্রতিদিন দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক যাতায়াত করতো।
এই বন্দর দিয়ে প্রধানত পাথর আমদানি হয় ভারত থেকে। ডলার সংকট এবং আরও বিভিন্ন সমস্যার কারণে আমদানি বন্ধ গত কোরবানির ঈদের পর থেকে। সংকট নিরসনে গত ২৭ অক্টোবর ভারতের পাথর ব্যবসায়ীরা আমদানি-রপ্তানি চালুর বিষয়ে বাংলাদেশে আসেন এবং দুদেশের ব্যবসায়ীদের নিয়ে দুদিনব্যাপী বৈঠক শেষে উভয় পক্ষে সমঝোতা হয়। কিন্তু প্রায় ১ মাস অতিবাহিত হলেও পাথর আমদানি করা সম্ভব হয়নি।
কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মামুন মিয়া বলেন, আমদানির জন্য উভয় দেশের ব্যবসায়ীর মধ্যে সমঝোতার বৈঠক হয়েছে। সমঝোতাও হয়েছে। কি কারণে আমদানি বন্ধ জানা যায়নি। লোড-আনলোড শ্রমিক লীগ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর সবুর ফক্কু পাথর আমদানি চালু করতে উভয় দেশের কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।
রৌমারী বন্দর দিয়ে গার্মেন্টস তুলা, সিমেন্ট, বিভিন্ন প্লাস্টিক আসবাবপত্র রপ্তানি হয়। আমদানি হয় পাথর, কয়লা ও মাঝে-মধ্যে আদা।