Home Uncategorized লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও কঠোর প্রশাসন

লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও কঠোর প্রশাসন

গাজীপুর থেকে মোঃ রাসেল মিজি: নয় দিনের বিশেষ লকডাউন চলছে গাজীপুরে। বুধবার (২৪ জুন) দ্বিতীয় দিনের মত বিশেষ এই লকডাউন জেলাজুড়েই চলছে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া বন্ধ রয়েছে দোকান-পাট, শপিংমল, হোটেল-রেস্তোরাঁ। বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার গণপরিবহন। জেলা থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার ও আন্তঃজেলা বাসও।
পাশাপাশি সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন মেনে চলতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি মাঠে রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রাজধানীতে ঢুকতে ও বের হতে দেয়া হচ্ছেনা কোন ধরনের গণপরিবহন। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঢাকা-গাজীপুর চৌরাস্তা ও কালিয়াকৈরের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকা সহ গাজীপুর ও ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী জৈনাবাজার মহাসড়কে সকাল থেকেই শ্রমিকদের ভিড়। দুর্ভোগে পড়েছেন অফিস ও বিভিন্ন কর্মস্থলে যাওয়া মানুষ। ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, শেরপুর অঞ্চলের পোশাক কারখানার কর্মমুখী মানুষ বাস থেকে নেমে হেঁটে কিংবা অতিরিক্ত ভাড়ায় রিকশায়, পিকআপ, ট্রাক, ভ্যানগাড়িতে করে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকার উদ্দেশে ছুটছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়ানোর চেয়ে চাকরি রক্ষাই বেশি প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তাদের অনেকে।


এদিকে সরকারের কঠোর বিধি-নিষেধের মধ্যেও খোলা রয়েছে গাজীপুরের বেশিরভাগ পোশাক কারখানা। এসব কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মপরিবেশ তৈরি করলেও শ্রমিকরা আছেন করোনা আতঙ্কে। কারখানার নিজস্ব পরিবহনে শ্রমিকদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করার কথা থাকলেও সেটা মানছে না কর্তৃপক্ষ। ফলে রিকশা, ভ্যান ও পিকঅ্যাপ ভ্যানে করে কারখানায় যেতে শ্রমিকদের ভাড়া গুনতে হচ্ছে প্রায় ৫ গুণ। সরেজমিনে কিছু শিল্প নগরী এলাকায় গিয়ে দেখ যায়, দল বেঁধে বিসিকের রাস্তায় শ্রমিকরা হাঁটাহাঁটি করছে। তাদের হাতে কোনও গ্লাভস বা মুখে মাস্ক নেই। নেই কোনও প্রকার স্বাস্থ্য সুরক্ষার সামগ্রী।
মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন,করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমানোর লক্ষে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী লকডাউন ঘােষিত এলাকায় চেকপােস্ট বসানাে হয়েছে। দূরপাল্লারযাত্রীবাহি গণপরিবহনকে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এবং কিছু কিছু বিশেষ কারনে মামলাও দেয়া হচ্ছে।