Home চট্টগ্রাম লকডাউন কেবল নামে

লকডাউন কেবল নামে



বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম: রেল চলছে। চলছে বাস। দুরপাল্লার বাসও বসে নেই। বিমানও উড়ছে আকাশে। লঞ্চ ফেরিঘাট সব চালু হয়ে গেছে। শুধু চালু হয়নি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অভ্যাসগুলো।  

গণপরিবহন : অবাধে চলছে গণপরিবহন। যাত্রীদের কাছ থেকে ডাবল ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ভিতরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন বালাই নেই। সিটগুলোতে এক আসন ফাঁকি না রেখেই অবাধে বসছে মানুষ। ভয় ডর সচেতনতা নেই বললেই চলে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে নেমে যেতে বলা হয়। ‘আপনি নেমে যান ভাড়া দিতে হবে না’ ব্যস। যাত্রীদের মুখ বন্ধ হয়ে গেলো। সাধারণ মানুষ এ সব ঝামেলায় জড়াতে চায় না। গাড়ির যাত্রীদের মাঝে কেউ কেউ প্রতিবাদ করা শুরু করলে তাকে মাঝ রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়।  এ ভয়ে যাত্রীরা চাইলেও প্রতিবাদ করতে চান না। গণপরিবহনগুলো যাত্রীদের জিম্মি করে লকডাউনের দোহাই দিয়ে যাত্রীদের  দ্বিগুণ হারে পকেট কাটছে। যা রীতিমতো জুলুমের মতো।

মসজিদ :নামাজের জামায়াতে শরীক হয়েছেন বিপুল মানুষ। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাতারে দাঁড়িয়ে জামাত আদায় করছেন। মাস্ক কারো কাছে  আছে তো কারো কাছে নেই। সেনিটাইজার সুদূর পরাহত। মসজিদের বাইরে যেখানে সেখানে জটলা।  মানুষের ভিড়। চা পান, সিগারেটের ধুঁয়া উদগীরণে সুখ টান সবই চলছে। সবকিছুই প্রকাশ্যে। যেন সবকিছুই স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

রেস্টুরেন্ট :স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে খুলে দেয়া হয়েছে রেস্টুরেন্ট। এখন থেকে আর কোন বাধা রইলো না। আরামসে বসে আড্ডা দেয়া যাবে।

মাস্ক :মাস্ক পড়লে দম বন্ধ হয়ে আসে। না পরলে ভালো লাগে। তবু সরকারের নির্দেশ মানতে থুতনির নিচে ঝুলিয়ে রাখা। যেন মাস্ক পরার ব্যাপারটি একটি ফানি গেম। ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস  সরকারের একটি ভালো উদ্যোগ। তবুও মাস্ক পরার অভ্যাসটি রপ্ত হচ্ছে না মানুষের কাছে। মাস্ক নিজের প্রাণ বাঁচায়. অন্যকে নিরাপদ রাখে। পুলিশকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হলেও কোথাও তার টিকিটিও দেখা যায় না।

হাট-বাজার: ঠেলাঠেলি, ধাক্কাধাক্কি শোরগোল সবই আছে। নেই শুধু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা। ক্রেতাদের অনেকের মুখে মাস্ক রয়েছে। আবার অনেকের মুখে নেই। এখানেও ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ অবহেলিত। সবখানেই যদি ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ সিস্টেম কড়াকড়িভাবে বাস্তবায়ন করা যেতো তাহলে সরকারের কোভিড ঠেকানো কর্ম্সূচি বাস্তবায়ন সহজ হতো।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: স্বাস্থ্যবিধি কড়াকড়িভাবে মেনে চলার শর্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যেতে পারে। দুরত্ব বজায় রেখে শিক্ষার্থীরা বেঞ্চে বসে পড়াশোনা করবে। এরজন্য কড়া মনিটরিং থাকবে  শিক্ষা প্রতিষ্টানগুলোর।

ভ্যক্সিন: টিকার দ্বিতীয় ডোজ যারা নেবেন তারা শিডিউল অনুযায়ী ভ্যাক্সিন দিতে পারছেন না। টিকার স্বল্পতার  কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আশা করি এ পরিস্থিতি বেশিদিন হয়তো স্থায়ী হবে না। টিকা চলে এলে আবারো টিকা প্রদানের উৎসব শুরু হবে। এ টিকাই হয়তো করোনার হাত থেকে আমাদের পরিত্রাণ দিতে পারে যদি আল্লাহ সহায় থাকেন।