কুড়িগ্রাম থেকে নয়ন দাস: লকডাউন বিধিকে তোয়াক্কা না করেই চিলমারীতে জমজমাট পশুরহাট ও জনসামাগম। নেই স্বাস্থ্যবিধি। প্রশাসন নিরব। হতাশ সচেতন মহল। আর আতঙ্কে সাধারন মানুষ।
চিলমারীতে পশুরহাটে বিভিন্ন উপজেলা থেকেও পশু বেচা-কেনা করতে আসেন শতশত মানুষ।
সপ্তাহে দু’দিন রবিবার ও বুধবার বসে এই হাট। সেই মতাবেক ঈদুল আজাহাকে সামনে রেখে কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে রবিবার বসেছে বৃহৎ পশুর হাট।
ক্রেতা আমিনুল বলেন, সামনে ঈদ তাই তিনি এসেছেন গরু নিতে। লকডউন এর কথা শুনে তিনি তা হাসিয়ে উড়িয়ে দেন।
বিক্রেতা তোফাজ্জল বলেন, তিনি গরু নিয়ে এসেছেন তবে বিধি নিষেধ আছে তা জানেননা। প্রশ্ন তুলেন যে নিষেধ থাকলে কি হাট বসতো। এসময় অনেকে বলেন, ভাই প্রশাসন অনুমতি না দিলে এতো বড় হাট বসে নাকি। শুধু জনসমাগম নয় ক্রেতা বিক্রেতার মুখে মাস্কও নেই।
চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ারুল ইসলামের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন ‘বিষয়টি দেখছি।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, লকডাউনে পশুরহাট বসানো নিষেধ, বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল করিম-এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।