Home First Lead লবণ মজুত প্রচুর, আমদানির সিদ্ধান্তে উৎপাদকরা হতাশ

লবণ মজুত প্রচুর, আমদানির সিদ্ধান্তে উৎপাদকরা হতাশ

ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

কক্সবাজার: কমপক্ষে ৩ মাসের চাহিদা পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় লবণ মজুত রয়েছে। উৎপাদন মওসুমও অত্যাসন্ন্। এ অবস্থায় আরও লবণ আমদানির সিদ্ধান্তে হতাশ হয়ে পড়েছেন লবণ তৈরি ও ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

বিসিকের লবণ প্রকল্প সূত্রে জানা যায়,  গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৭ হাজার ৬৯৭ জন চাষী ৫৪ হাজার ৬৫৪ একর জমিতে লবণ তৈরি করেন। উৎপাদিত হয় পূর্বের মজুদসহ ১৯ লাখ ৯৯ হাজার মেট্রিক টন। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত লবণ মজুদ রয়েছে ৩ লাখ ৪ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে মাঠ পর্যায়ে ১ লাখ ৬৩ হাজার মেট্রিক টন এবং মিল পর্যায়ে ১ লাখ ৪১ হাজার মেট্রিক টন।

কক্সবাজার জেলার সদর, নবগঠিত ঈদগাঁও, রামু, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া, পেকুয়া এবং চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী ও আনোয়ারা উপজেলা কিছু অংশেই মূলত লবণ উৎপাদিত হয়ে থাকে। বর্তমানে প্রতিবছর কম বা বেশী ৬০ হাজার একর পর্যন্ত জমিতে লবণ চাষ হয়ে থাকে। প্রতিবছর নভেম্বর থেকে মধ্য মে মাস পর্যন্ত সময়কালেই লবণ উৎপাদনের মৌসুম। মূলত এই সময়ে উৎপাদিত লবণ দিয়ে দেশে সারা বছরের চাহিদা পূরণ করা হয়ে থাকে।

এতে গত অর্থবছরে বাজারজাতের পরেও মাঠে ও মিল পর্যায়ে এখন পর্যন্ত লবণ মজুদ; রয়েছে ৩ লাখ ৪ হাজার মেট্রিক টন। যা দিয়ে অন্তত আগামী আরো ৩ মাস পর্যন্ত লবণের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক সভায় চলতি অর্থ-বছরে ৩ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন লবণ আমদানির প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি কক্সবাজার জেলা প্রশাসন লবণ চাষী ও লবণ শিল্প মালিকদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সভায় লবণ চাষী, মাঠ মালিক ও লবণ শিল্প মালিকরা হতাশা ব্যক্ত করেন।

জানা যায়, সিন্ডিকেট কারণে মাঠ পর্যায়ে লবণ উৎপাদকরা ন্যায্যমূল্য থেকে প্রতিবছর বঞ্চিত হয়। এছাড়া দ্রব্যমূল্যের পাশাপাশি শ্রমিকের মজুরী বেড়ে যাওয়ায় প্রতিবছর উৎপাদন খরচও বেড়ে চলছে। এ অবস্থার মধ্যে আমদানি হলে উৎপাদকদের দুর্দশার শেষ থাকবে না।