আমিরুল মোমেনিন
ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ( ডিএসই )’তে আজ মঙ্গলবার ৪৫ কার্যদিবসের সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। উত্থান হয়েছে সূচকের। তা সাত হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করেছে।
ডিএসই’তে আজ শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১,৯৭৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকার। আর তা ৪৫ কার্যদিনের সর্বোচ্চ। এরচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল গত ৭ অক্টোবর। পরিমান ছিল ২,৪৯৭ কোটি টাকা।
আজ ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দাঁড়িয়েছে ৭০৪৯.১৫ পয়েন্টে। বেড়েছে ৫৪.৯৯ পয়েন্ট। অবশ্য বেলা ১২ টা ৫৯ মিনিটে তা ৭০৯৮.৫২ পয়েন্টে গিয়ে পৌঁছেছিল। পরে তা নেমে গেছে।
গত ৭ ডিসেম্বর ডিএসইএক্স সাত হাজার ৪ পয়েন্টে অবস্থান করছিল।
ডিএসইতে আজ ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার হাতবদর হয়। এগুলোর মধ্যে ১৮৯টির দর বেড়েছে। কমেছে ১৪৬টির। আর দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের-সিএসইতে ৬২ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এদিকে, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হচ্ছে। তবে, এ সময়েও শেয়ারবাজারে লেনদেন ইতিপূর্বের বিধি নিষেধের মত চালু থাকবে। পূর্বের বিধিনিষেধে যেনভাবে লেনদেন হয়েছে, এবারও ঠিক আগের মতই লেনদেন হবে বলে জানিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
গত বছরের এপ্রিলে লকডাউন ও জুলাইয়ে শাটডাউনের মধ্যে ব্যাংকের লেনদেনে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছিলো। ব্যাংক লেনদেনের সাথে সমন্বয় রেখে লেনদেন হয়েছিলো শেয়ারবাজারে।
২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণের পর সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলে ৬৬ দিন পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকে, চালু থাকে ব্যাংক। ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ও ১ জুলাই থেকে শাটডাউন নামে বিধিনিষেধে পুঁজিবাজারে লেনদেন চালু থাকে। বিএসইসির সিদ্ধান্ত হচ্ছে যতদিন ব্যাংক খোলা থাকবে, ততদিন শেয়ার কেনাবেচা চলবে।
করোনারভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার মধ্যে চলাচলে বিধিনিষেধে পুঁজিবাজারে লেনদেন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
গত বছরের এপ্রিলে লকডাউন ও জুলাইয়ে শাটডাউনের মধ্যে ব্যাংকের সময়সীমার সঙ্গে সমন্বয় করে যেভাবে লেনদেন চলেছিল, সেভাবেই এবারও লেনদেন চলবে বলে জানিয়েছেন বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
গত বছর লকডাউন ও শাটডাউনের সময় ব্রোকারেজ হাউজে না গিয়ে ঘরে বসে অনলাইনে বা ফোনেই শেয়ার কেনাবেচার অর্ডার দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। অল্প সময়ে বেশি অর্ডারের লোড নিতে গিয়ে প্রায়ই ট্রেডিং সিস্টেমে গোলযোগ দেখা দিয়েছিল এবং লেনদেন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে, এবার সে রকম হবে না বলে বিএসইসি গণমাধ্যমকে জানিয়েছে।