Home কৃষি শত কোটি টাকার মরিচ উৎপাদন যমুনার চরে

শত কোটি টাকার মরিচ উৎপাদন যমুনার চরে

ছবি: সংগৃহীত

মণ ৮ হাজার টাকা

 
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

বগুড়া: পাকা মরিচের রঙে লালে লাল সারিয়াকান্দি উপজেলায় যমুনার চরাঞ্চল। মরিচ তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। কোথাও সবুজক্ষেতে লাল মরিচের সমাহার, কোথাও বা পাকা মরিচ শুকানো হচ্ছে রোদে।
আবার কেউবা শুকনো মরিচ বিক্রি করতে চরের বালিপথে হেঁটে যাচ্ছেন হাটে, কেউবা ঘোড়ার গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছেন। 
জানা যায়, চলতি বছর ১৭ হাজার ১৬০ টন ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও এর বেশি ফলন পাওয়া যাবে। শুধু সারিয়াকান্দি উপজেলায় ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড এবং ১ হাজার ৯৭০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় উফশী মরিচসহ মোট ৩ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। গুণগত মান ভালো বলেই দেশব্যাপী এ জেলার মরিচের সুনাম রয়েছে। অনেক বড় বড় কোম্পানি এখানকার মরিচ কেনায় বিনিয়োগ করে।
সারিয়াকান্দির বোহাইল চরের মাসুদ মিয়া বলেন, ৯ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। বিঘাপ্রতি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় হাটে নেওয়া পর্যন্ত। প্রতি বিঘায় আট থেকে ৯ মণ শুকনো মরিচ হয়। এ বছর ৮ হাজার টাকায় এক মণ বিক্রি করেছি। 
বোহাইল হাটের পাইকার আজাদুল জানান, চরের জমির মরিচের গুণ-মান ভালো। বিভিন্ন মসলা উৎপাদনকারী কোম্পানির কাছে এর চাহিদা বেশি। তিনি এই হাট থেকে শুকনো মরিচ কিনে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে বিক্রি করেন। তিনি বলেন, বেশি ভালো হলে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় প্রতি মণ মরিচ।
জেলার সারিয়াকান্দির মরিচ চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, লাল মরিচ গাছ থেকে সংগ্রহ করছে মসলা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। লাল টোপা মরিচ কৃষকের আঙিনায় শুকিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ফ্যাক্টরিতে নিয়ে যাচ্ছে।
বোহাইল চরের কদভানু বিবি ও হাসি খাতুন বলেন, জমি থেকে প্রতি বস্তা মরিচ তুলে ১০০ টাকা পান তারা। দিনে চার-পাঁচ বস্তা মরিচ তুলতে পারেন।
বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. দুলাল হোসেন জানান, বগুড়ায় বরাবরই মরিচের ভালো ফলন হয়। বগুড়ায় যে লাল মরিচ চাষ ও বাজারজাত হয় তা অন্যান্য জেলার চেয়ে মানে ভালো। সে কারণে বগুড়ার মরিচের ভালো দাম পান কৃষকরা। সারিয়াকান্দিতে এবার শত কোটি টাকার মরিচ উৎপাদন হয়েছে