Home সারাদেশ শরণখোলা ও চাঁদপাইয়ে বনবিভাগের ব্যাপক ক্ষতি

শরণখোলা ও চাঁদপাইয়ে বনবিভাগের ব্যাপক ক্ষতি

উদ্ধার করা দুটি হরিণশাবক সুন্দরবনে অবমুক্ত করতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে


মো. নাজমুল ইসলাম সবুজ

বাগেরহাট: ঘুর্ণিঝড় ইয়াসে পূর্ব সুন্দরবনে চারটি হরিণের মৃত্যু ও বন বিভাগের অবকাঠামোর ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।

জোয়ারে ভেসে লোকালয়ে চলে আসা দুইটি জীবিত হরিণ শাবক বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার করে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে।

শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সুন্দরবনে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চারটি চিত্রল হরিণের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে দুবলা থেকে একটি, কচিখালী থেকে একটি, শরণখোলা উপজেলা সদরের বলেশ্বর নদীর রাজেস্বর এলাকা থেকে একটি ও বৃহস্পতিবার সকালে চাল রায়েন্দা এলাকা থেকে একটি মৃত হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে। মরা হরিণগুলি সুন্দরবনে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া পানির স্রোতে ভেসে পাশ্ববর্তী মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোড় ও গোলবুনিয়ার লোকালয়ে চলে যাওয়া দুইটি এবং জীবিত হরিণশাবক উদ্ধার করে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে। বনের মধ্যে আর কোন বণ্যপ্রানীর মৃত্যু হয়েছে কিনা তা খুজে দেখা হচ্ছে। অপরদিকে ঝড়ে বন বিভাগের দুইটি রেস্ট হাউস, দুইটি অফিস, একটি ব্যরাক, একটি ফুট ট্রেইল, ১০ টি জেটি, ১৫ টি রাস্তা, চারটি পুকুর, একটি জলযান ও গাছপালার ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৩০ লাখ টাকার একটি রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরী করা হবে বলে তিনি জানান।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জে প্রাথমিক ভাবে ৬০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তৈরী করা হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট সকল অফিসের আওতাধীন বনের গাছপালা ও বন্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনের জন্য সকল বনরক্ষীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।