Home Second Lead শরীর দুর্বল হলে ‘বুস্টার’ ডোজ নিতে হবে: হু

শরীর দুর্বল হলে ‘বুস্টার’ ডোজ নিতে হবে: হু

ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে, নানা কোমর্বিডিটি থাকলে কোভিড ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ নিতেই হবে, এমনটাই জানালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরা।

হু জানাচ্ছে, ষাটোর্ধ্ব প্রবীণদের বিশেষ করে ভ্যাকসিনের অতিরিক্ত ডোজ দিলে ভাল হয়। করোনাভাইরাস যেভাবে রূপ বদলে সংক্রামক হয়ে উঠেছে তাতে ভ্যাকসিনের প্রভাব দীর্ঘদিন ধরে রাখতে ও শরীরে অ্যান্টিবডির পরিমাণ বাড়াতে বুস্টার ডোজ অতি আবশ্যক বলেই মনে করছেন তাঁরা।

রাষ্ট্রপুঞ্জের হেলথ এজেন্সি ‘স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অব এক্সপার্টস অন ইমিউনাইজেশন’ একই দাবি করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্পূর্ণ টিকাকরণের পরে অর্থাৎ প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া হয়ে গেলে, তার ছ’মাস থেকে এক বছর পরে এই তৃতীয় ডোজ নেওয়াটা খুবই দরকার। এই ডোজেই শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি আরও বাড়বে।

বিশ্বজুড়েই ভাইরোলজিস্টরা বলছেন, সার্স-কভ-২ ভাইরাল স্ট্রেনে মিউটেশন বা জিনের গঠন বিন্যাস খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে। মানে মিউটেশন হচ্ছে পর পর, র‍্যাপিড। একবারে ২০০ বার জিনের গঠন বদলাতেও দেখেছেন বিজ্ঞানীরা। স্পাইক প্রোটিনে অ্যামাইনো অ্যাসিডের কোডও বদলে যাচ্ছে। তাই ভাইরাল স্ট্রেন দিনে দিনে আরও ছোঁয়াচে, অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। ফাইজারের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাসের জিনোম সিকুয়েন্স করে বা জিনের বিন্যাস সাজিয়ে যেমনটা দেখে ভ্যাকসিনের ফর্মুলা তৈরি হয়েছিল, সেই জিনের বিন্যাসই এখন বদলে গেছে। যদিও ভ্যাকসিনে কাজ হবে ঠিকই, কিন্তু সারা বছর সংক্রামক ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে শরীরের ইমিউনিটি সেই পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। এর জন্যই দরকার এই তৃতীয় ডোজ।

ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ হবে ‘বুস্টার’, অর্থাৎ শরীরের ইমিউন পাওয়ার বা রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেবে। সাধারণত, ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ শরীরে ঢুকে ইমিউন কোষগুলোকে (বি-কোষ ও টি-কোষ) সক্রিয় করার চেষ্টা করে। দেহকোষে ভাইরাস প্রতিরোধী সুরক্ষা বলয় তৈরি করার জন্য ইমিউন কোষগুলোকে অ্যাকটিভ করা শুরু করে। দ্বিতীয় ডোজে এই কাজটাই সম্পূর্ণ হয়। বি-কোষ সক্রিয় হয়ে প্লাজমায় অ্যান্টিবডি তৈরি করে। অন্যদিকে, টি-কোষ বা টি-লিম্ফোসাইট কোষ সক্রিয় সংক্রামক কোষগুলিকে নষ্ট করতে শুরু করে। দুই ডোজের পরে যে অ্যান্টিবডি শরীরে তৈরি হয় তাই ভাইরাস থেকে সুরক্ষা দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্যাকসিনেশনের প্রায় এক বছর পরে যদি এই বুস্টার দেওয়া হয়, তাহলে আবারও শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে, আরও কয়েকমাস ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা পাওয়া যাবে।