বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা:
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: রাজধানীর পুরান ঢাকার কাঠের পুলের তনুগঞ্জ লেন এলাকার একটি ছাত্রী মেস থেকে রবিবার ভোররাতে লাশ উদ্ধার করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাবরিনা রহমান শাম্মীর প্রসঙ্গে ঘটনাস্থলের পাশের রুমে থাকা জবির ১৮তম ব্যাচের এক ছাত্রী নিশ্চিত করে জানান, শাম্মীর সঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিএসই বিভাগের এক শিক্ষার্থী প্রেমের সম্পর্ক ছিল; যার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মন খারাপ ছিল।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, পুরান ঢাকার কাঠের পুলের তনুগঞ্জ লেনের দুই রুমের একটি ফ্ল্যাট বাসায় ১৮তম ব্যাচের এক ছাত্রী তার মাকে নিয়ে এক রুমে থাকতেন। অন্য রুমে আত্মহত্যা করা সাবরিনা রহমান শাম্মী ও ১৮তম ব্যাচের ওই ছাত্রীর এক বান্ধবী থাকতেন। গত ডিসেম্বরে ওই বান্ধবী বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। এরপর থেকে শাম্মী একাই থাকতেন।
১৮তম ব্যাচের ওই ছাত্রী বলেন, আমরা দুই রুমের ফ্ল্যাটটিতে থাকি। এক রুমে আমি ও আমার আম্মা থাকি। অন্য রুমে ১৭তম ব্যাচের সাবরিনা রহমান শাম্মী আপু ও আমার এক বান্ধবী থাকতেন। কিন্তু গত ডিসেম্বরে আমার বান্ধবী অন্য জায়গায় শিফট হয়। ফলে আপু একাই রুমে থাকতেন।
তিনি আরও বলেন, আমি গতকাল শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাসায় আসি। বাসায় আসার পর বুঝতে পারি শাম্মী আপুর হয়তো মন খারাপ। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে হয়তো কোনো ঝামেলা হয়েছে বলবে এটা বুঝতে পারি। তার বয়ফ্রেন্ড বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী।
শাম্মীর রুমের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, শাম্মী আপুর সঙ্গে কথা বলার পর আমি আমার রুমে চলে যাই। পরীক্ষা থাকায় রুমে পড়ছিলাম। আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে পড়া শেষে রুম থেকে বের হয়ে দেখি আপুর রুমে লাইট জ্বলছে এবং দরজাটা একরকম চাপানো ছিল। রুমে আলো জ্বলছে দেখে রুমের দরজা খোলতেই দেখি উনি ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গেই আমি বাড়িওয়ালা ও ৯৯৯-এ কল দিই। পরে সূত্রাপুর থানা পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ‘ শাম্মী একটি নোটও লিখে রেখে গিয়েছিল। সেখানে লেখা ছিল আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। তবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সেহেতু ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত হোক, পুলিশের সঙ্গেও কথা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করবে।’
সাবরিনা রহমান শাম্মির সহপাঠী আলী কাজী বলেন, ‘আমরা ভোর চারটার দিকে জানতে পারি, শাম্মি আত্মহত্যা করেছে। তৎক্ষণাৎ আমরা কাঠেরপুলে তার মেসে যায়। তখন বুয়েটে পড়াশোনা করা শাম্মির বয়ফ্রেন্ডও এসেছিল। অনেক কান্নাকাটি করার পর চলে যায় সে।