Home Third Lead শিক্ষকের অনৈতিক কর্মকান্ডের ভিডিও ফাঁস

শিক্ষকের অনৈতিক কর্মকান্ডের ভিডিও ফাঁস

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

নওয়াপাড়া:  অভয়নগরের সুন্দলী ইউনিয়নের রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিরামন মন্ডলের সাথে এক মহিলা অভিভাবক সদস্যের অনৈতিক কর্মকান্ডের ভিডিও ফাঁস হয়েছে। ফাঁস হওয়া ওই ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। গত এক সপ্তাহ ধরে ভিডিওটি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় চলছে। ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা ওই শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর অভয়নগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওই শিক্ষককে এক মাসের ছুটি দিয়েছেন।
যদিও শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদ করিম দাবি করেছেন, তিনি ঘটনা সম্পর্কে জানেন না। বিষয়টি জানতে পেরে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ঘটনার পরপরই ম্যানেজ হয়ে ওই শিক্ষককে রক্ষা করতে এক মাসের মেডিকেল ছুটি দিয়েছেন। শিক্ষক হীরামণ মন্ডল সুন্দলী ইউনিয়নের ডহরমশিয়াহাটি গ্রামের বিকাশ চন্দ্র মন্ডলের ছেলে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে।
অভিযোগে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক হিরামন মন্ডল রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। ওই বিদ্যালয়ের একজন মহিলা অভিভাবক সদস্যের সাথে তার একটি অনৈতিক কর্মকান্ডের ভিডিও ফাঁস হয়েছে। চাকরির সুবাদে ওই মহিলা অভিভাবক সদস্যের স্বামী বাইরে থাকার সুযোগে হিরামন তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
এ বিষয়ে রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র মল্লিক বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শুনেছি। তবে, এই ঘটনা প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পাসে ঘটেনি। স্কুল চলাকালীন এবং কোনো শিক্ষার্থীর সাথেও ঘটেনি। ঘটনাটি ওই শিক্ষকের ব্যক্তিগত ব্যাপার। এখানে আমার বলার কিছু নেই।’ ঘটনা জানাজানির পর থেকে স্থানীয় অভিভাবকরা ওই শিক্ষকের অপসারণ দাবি করে আসছেন। তাকে অপসারণ করা না হলে তারা তাদের সন্তানদের ওই বিদ্যালয়ে পড়াবেন না বলে জানিয়েছেন। এ কারণে নিরুপায় হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রধান শিক্ষক হীরামনকে স্কুলে আসতে নিষেধ করেছেন এবং মেডিকেল ছুটি নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের সভাপতি মিন্টু কুমার রায় বলেন, প্রাথমিকভাবে আমি ঘটনা শুনেছি এবং পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে শিক্ষক হিরামন মন্ডলের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তাদের দাবি, শিক্ষক হিরামন মন্ডল যেন স্কুলে না আসেন। ওই শিক্ষক স্কুলে আসলে অভিভাবকরা তাদের ছেলে-মেয়েদের আর পাঠাবেন না। প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে সভাপতি শিক্ষক হিরামনকে স্কুলে আসতে নিষেধ করেছেন। দ্রুত বিষয়টি নিয়ে কমিটির সদস্য ও শিক্ষকদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছেন। বিষয়টি নিয়ে গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে সভাপতি জানিয়েছেন।
অভয়নগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাসুদ করিম বলেন, এ সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা এবং আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। এক মাসের মেডিকেল ছুটি দেয়ার বিষয়ে এই শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, মেডিকেল ছুটি ভিন্ন বিষয়। এর সাথে ঘটনার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক হিরামন মন্ডল বলেন, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তবে, যাই ঘটুক না কেন তিনি তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থী বলে উল্লেখ করেন।