বিজনেসটুডে ডেস্ক
দিল্লি: শিক্ষাক্ষেত্রকে ক্রমশ শিল্প, ব্যবসা হিসাবে দেখা হচ্ছে। দেশে উচ্চশিক্ষায় পড়াশোনা লাগামছাড়া। যে কারণে ছেলেমেয়েদের ইউক্রেনের মতো বিভিন্ন দেশে ডাক্তারি পড়ার জন্য যেতে হচ্ছে ।
ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট একটি মামলার শুনানিতে এই মন্তব্য করেছে । সর্বোচ্চ আদালতের দুই বিচারপতি বিআর গভাই এবং হিমা কোহলির বেঞ্চ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে বলেছে, অথচ, দেশে মেডিক্যাল ইনস্টিটিউশনের অভাব নেই। কিন্তু খরচের কারণে সেগুলিতে দেশের ছেলেমেয়েরা অনেকেই ভর্তি হতে পারছে না।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর প্রায় ২২ হাজার ডাক্তারি পড়ুয়াকে ভারতে ফিরিয়ে আনতে হয়। তাদের সবাইকে এখনও ভারতের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ভর্তি নেওয়া যায়নি। তখনই জানা যায় দেশের তুলনায় অর্ধেক খরচে ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়া যায়। এমনকি বাংলাদেশ, নেপাল, মালয়েশিয়াতেও বহু ভারতীয় সস্তায় ডাক্তারি পড়ার জন্য যাচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টে আলোচ্য মামলাটি ছিল ফার্মাসি কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে। তারা ঠিক করেছে আগামী দু বছর নতুন ফার্মাসি কলেজের অনুমোদন দেবে না। তাদের বক্তব্য, দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো ফার্মাসি কলেজ চালু হয়েছে। সেগুলির প্রতি তারা ঠিকঠাক নজরদারি চালাতে চায়। এখনই আর নতুন কলেজের প্রয়োজন নেই।
ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে হওয়া মামলায় দিল্লি ও কর্নাটক আদালত ফার্মাসি কাউন্সিলের অবস্থান খারিজ করে দিয়েছে।
কাউন্সিল যদিও তাদের অবস্থানে অনড়। তারা সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ করা হোক। সেই মামলায় মঙ্গলবার সর্বোচ্চ আদালত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার প্রস্তাবে সায় দিয়ে বলেছে, ফার্মাসি কাউন্সিল নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালুর দরখাস্ত গ্রহণ করুক। কিন্তু এখনই অনুমোদন দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কাউন্সিল প্রস্তাবগুলি খতিয়ে দেখা শুরু করুক।
সর্বোচ্চ আদালত ফের মামলাটি শুনবে ২৬ জুলাই। আইনজীবীদের একাংশের অনুমান, আদালত বেসরকারি ফার্মেসি কলেজগুলির ক্ষেত্রে ফি বেঁধে দিতে পারে।