কেবল প্রতিশ্রুতির বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছেন তা নয়, বিপক্ষ প্যানেল জয়ী হলে নিজ কোম্পানির স্বার্থ রক্ষায় বা অন্যের ব্যবসা কেড়ে নেয়ার হাতিয়ার হিসেবে সংগঠনকে ব্যবহার করা হবে এমন সম্ভাবনাকে তুলে ধরা হচ্ছে ভোটারদের কাছে।
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: এখন চলছে শিপিং-এ ভোটের শেষ মুহূর্তের প্রচারণা। মাঝখানে আর মাত্র ৪ দিন। তারপর সেই কাঙ্খিত নির্বাচন। দলনেতা এবং প্রার্থীদের চোখে ঘুম নেই। তবে, শেষ সময়ে এসে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে একটি বড় হাউস এবং রাজধানীর ভোটগুলো।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশন ( বিএসএএ ) নির্বাচন আগামী ৪ এপ্রিল। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দু’টি গ্রুপ। বর্তমান পরিচালক শাহেদ সরওয়ার-এর নেতৃত্বাধীন ‘শাহেদ সরওয়ার প্যানেল এবং প্রাক্তন পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ-এর নেতৃত্বাধীন ‘সম্মিলিত পরিষদ।’
দু’টি পক্ষই জয় পেতে মরিয়া। নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে তারা ভোটারদের দরবারে হাজির। ভোটে জেতার পর সেসব যদি প্রতিপালন করতে না পারেন তাহলে পরবর্তী নির্বাচনে কঠিন মূল্য দিতে হবে। মুখ ফিরিয়ে নেবেন ভোটাররা। কেবল যে প্রতিশ্রুতির বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছেন তা নয়, বিপক্ষ প্যানেল জয়ী হলে নিজ কোম্পানির স্বার্থ রক্ষায় বা অন্যের ব্যবসা কেড়ে নেয়ার হাতিয়ার হিসেবে সংগঠনকে ব্যবহার করা হবে এমন সম্ভাবনাকে তুলে ধরা হচ্ছে ভোটারদের কাছে। আবার কোনো কোনো প্রার্থী বর্তমান কমিটিতে তার ব্যক্তিগত উদ্যোগের ফলে শিপিং ব্যবসায় যেসব সফলতা এসেছে সেগুলোর নিরিখে প্যানেলের সবার জন্য ভোট চেয়েছেন। অবশ্য, শিপিং সেক্টরে যারা ভোটার তারা অত্যন্ত সচেতন। ভোটপ্রার্থীদের নানা প্রতিশ্রুতির চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন তারা।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দু’গ্রুপের নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে। এর বাইরের ভোটগুলো ভাগ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাই বিশেষত কবির গ্রুপ ( কেএসআরএম )’র ভোটসমূহ এবং ঢাকায় যে ডজন খানেক ভোট রয়েছে সেগুলোর দিকে সবার চোখ। তবে, এসব ভোট কোন প্যানেল এককভাবে পাবে না, ভাগাভাগি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সম্মিলিত পরিষদ তাদের পরিচিতি সভা করেছে। সেখানে প্রতিপক্ষ গোষ্ঠিকে ঘায়েল করতে যেসব কথা বলা হয়েছে শাহেদ সরওয়ার প্যানেল হোটেল আগ্রাবাদে পরিচিতি সভায় তার পাল্টা জবাব দিতে তৈরি বলে জানালেন এক প্রভাবশালী প্রার্থী।
এবারে ভোটার সংখ্যা ২৬৭। এরমধ্যে অর্ডিনারি ক্যাটেগরিতে ১৪৫ এবং এসোসিয়েট ক্যাটেগরিতে ১২২। সংগঠনটির ইতিহাসে এবারই সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোটার। অবশ্য, শিপিং এজেন্সি সংখ্যা অনেক। দীর্ঘদিন সরাসরি ভোট না হওয়ায় ভোটার হয়নি বহু এজেন্সি।