নারায়ণগঞ্জ, সাভার, ধামরাই, সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে অবস্থিত টেক্সটাইল মিলগুলোয় গ্যাসের চাপ সবচেয়ে কম
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ায় বাড়ছে জ্বালানির চাহিদা। সেই সঙ্গে বাড়ছে গ্যাসের সংকট।
বর্তমানে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা ৪৩০ কোটি ঘনফুট। এর বিপরীতে গত সপ্তাহে পেট্রোবাংলা মোট সরবরাহ করে ৩১০ কোটি ঘনফুট গ্যাস। ঘাটতি ছিল ১২০ কোটি ঘনফুট।
বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, শিল্প শ্রমিক ও দেশের স্বার্থে এলএনজি সরবরাহ বাড়ানোর মাধ্যমে আমরা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস চাই, প্রণোদনা চাই না। দেশের প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাকের মধ্যে নিটওয়্যারের ৯০ শতাংশ আর ওভেন পোশাকের ৪০ শতাংশ স্থানীয় টেক্সটাইল মিলগুলো সরবরাহ করছে।
মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, ধামরাই, সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে অবস্থিত টেক্সটাইল মিলগুলোয় গ্যাসের চাপ সবচেয়ে কম। এ কারণে স্থানীয় মিলগুলো বেশি সঙ্কটে আছে। কোটি কোটি টাকার মেশিনারিজ নষ্ট হচ্ছে।
সরকারের নানা কার্যক্রমে দেশের দৈনিক গ্যাস উৎপাদন বেড়ে ২৭০ কোটি ঘনফুটে পৌঁছেছিল। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা বিশেষ করে সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে অচলাবস্থার কারণে বর্তমানে তা কমে ২৪০ কোটি ঘনফুটে নেমে এসেছে। গত সপ্তাহে দেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে ২৪২ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়া গেছে।
দেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে দিনে ২৪০ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়া গেছে। জ্বালানি বিভাগের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর গ্যাসের দৈনিক উৎপাদন ২৩০ কোটি ঘনফুটে নেমে আসতে পারে। বড় কোনো গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কৃত না হলে ২০২২-২৩ সালে দেশের ক্ষেত্রগুলো থেকে দিনে গ্যাস উৎপাদন ১৮.৪ কোটি ঘনফুট কমতে পারে। ২০২৩-২৪ সালে দৈনিক উৎপাদন ৪৩.৫ কোটি ঘনফুট কমে যেতে পারে। এ সময় শেভরনের অধিকাংশ গ্যাসক্ষেত্রের উৎপাদন বন্ধ হতে পারে। বিকল্প হিসেবে সরকার এলএনজির আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কাতার ও ওমান থেকে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। কাতারের রাস লাফান লিকিউফাইড ন্যাচারাল গ্যাস কোম্পানির গ্যাস ১৫ বছর চুক্তির আওতায় কিনছে পেট্রোবাংলা। চুক্তি সই হয় ২০১৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর। গ্যাস সরবরাহ শুরু হয় ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল। গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত ১১৩টি জাহাজে এলএনজি সরবরাহ করেছে রাস গ্যাস। এর মধ্যে ২০১৮ সালে ১১টি, ২০১৯-এ ৪৩টি, ২০২০-এ ৪০টি এবং চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ১৯টি জাহাজ
তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির একজন কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে তাদের দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ১৯০ কোটি ঘনফুট। বিপরীতে মিলছে সর্বোচ্চ ১৭০ কোটি ঘনফুট। আরেকজন কর্মকর্তা জানান, জাতীয় গ্রিডে এলএনজি সরবরাহ কমে যাওয়ায় সঙ্কট বেড়ে গেছে। বিশেষ করে গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়া, ময়মনসিংহের শিল্প এলাকা গুলোতে সঙ্কট বেশি হচ্ছে। বিদ্যুতে গ্যাস সরবরাহ কমছে, বাড়বে ব্যয়।
‘