চট্টগ্রাম: ১৮ ফেব্রুয়ারী, শুক্রবার ঘাসফুল প্রতিষ্ঠাতা শামসুন্নাহার রহমান পরাণ এর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার চান্দগাঁওস্থ ঘাসফুল প্রধান কার্যালয়ে খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, ঘাসফুল-চেয়ারম্যান ড. মনজুর-উল-আমিন চৌধুরী, সংস্থার সিইও আফতাবুর রহমান জাফরী, পরিচালক মোহাম্মদ ফরিদুর রহমান, উপ-পরিচালক মফিজুর রহমান, মারুফুল করিম চৌধুরী, সহকারি পরিচালক খালেদা আকতার, সাদিয়া রহমানসহ সকল কর্মকর্তাবৃন্দ।
সকালে ঘাসফুল পরাণ রহমান স্কুলেও মরহুমা পরাণ রহমান স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের অধ্যক্ষ মাহমুদা আকতার, শিক্ষক জান্নাতুল মাওয়া, নাজমা আক্তার, তানজিনা হক, মাওলানা আকবর আলীসহ স্কুলের কর্মচারীবৃন্দ।
ঘাসফুল প্রতিষ্ঠাতা মরহুমা শামসুন্নাহার রহমান পরাণ ১৯৪০ সালে ১ জুন চট্টগ্রাম এনায়েতবাজার বাটালীরোডস্থ মাতুতালয় মায়াকুটিরে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী ইন্তেকাল করেন। তিনি ১৯৭২ সালে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ঘাসফুল প্রতিষ্ঠা করেন। পরাণ রহমান উন্নয়ন সেক্টরে একজন অতিপরিচিত এবং নন্দিত নারী। তিনি সমাজের অচ্ছুত সম্প্রদায়ের দলিত/হরিজন কমিউনিটি, উপকুলীয় জেলে, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি সাঁওতাল, ওঁরাও সস্প্র্রদায়ের জীবনমান উন্নয়ন, শিশু অধিকার, প্রবীণ অধিকার নিয়ে কাজ করেছেন।
পরাণ রহমান কাজ করেছেন একাত্তরের মক্তিযুদ্ধে নির্যাতীত বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি আদায়ে এবং তাদের পুনর্বাসনে। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে, দেশের অভ্যন্তরে শেল্টার ফোর্স হিসেবে লড়াই করেছেন দেশমাতৃকার স্বাধীনতাযুদ্ধে। নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তাঁর রেখে যাওয়া কীর্তি বিবেচনা করে বর্তমান সরকার পরাণ রহমানকে বেগম রোকেয়া পদক-২০২১-এ ভূষিত করেন। রাষ্ট্রীয় এই সম্মান বেগম রোকেয়ার যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে পরাণ রহমানের যথার্থ মুল্যায়ন। অবসরে তিনি ছোটগল্প, কবিতা, এবং পত্র-পত্রিকায় বিভিন্ন চলমান ইস্যু নিয়ে লেখালেখি করেছেন। তাঁর লেখা অনেকগুলো প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা এবং গ্রন্থ ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। মৃত্যুর পুর্ব পর্যন্ত তাঁর লেখা ১০টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি