Home বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ শুল্ক কমানোসহ ৪ দফা দাবি কার্টন শিল্প মালিকদের

শুল্ক কমানোসহ ৪ দফা দাবি কার্টন শিল্প মালিকদের

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: প্রস্তাবিত বাজেটে লোকাল প্যাকেজিং ও মুদ্রণ শিল্পের কাঁচামালের ওপর আমদানি শুল্ক প্লাস্টিক প্যাকেজিংয়ের ন্যায় ৫ শতাংশ করাসহ ৪ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ লোকাল কার্টন ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের (বিএলসিএমএ)।

অর্থ মন্ত্রণালয়, এনবিআর ও এফবিসিসিআই সভাপতির কাছে দেয়া এক চিঠিতে এ দাবি জানানো হয়।

একই দাবি জানিয়েছে আরো ৫ সংগঠন। সেগুলো হলো- বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি, দি বাংলাদেশ পেপার মার্চেন্ট এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পেপার ইমপোটার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রক ও বিপণন সমিতি এবং চটগাম কাগজ ও সেলোফিন ব্যবসায়ী গ্রুপ।

বিএলসিএমএ জানায়, দেশের স্থানীয় কার্টন উৎপাদন শিল্পের আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং শ্রমঘন প্রতিষ্ঠান। এই শিল্পে প্রায় ২০ লাখ মানুষ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বরাবরই সরকার প্রণীত আইনগুলো এ খাতের জন্য বৈরী অবস্থা সৃষ্টি করে আসছে। অবশ্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রতি সরকারের যথেষ্ট গুরুত্ব আছে। তাই এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাঁচানোর জন্য ৪টি মৌলিক দাবি বিবেচনায় নেবে বলে আশা করছে বিএলসিএমএ।

দাবিগুলো হলো: প্যাকেজিং কাঁচামালের ওপরে আমদানি শুল্ক প্লাস্টিক প্যাকেজিংয়ের ন্যায় ৫ শতাংশ করা। দেশীয় পেপার মিলে উৎপাদিত প্যাকেজিংয়ের কাঁচামাল অর্থাৎ প্যাকেজিং পেপারে ভ্যাট ১৫ শতাংশ করার সুপারিশ করেছে সংগঠনটি । তা করা হলে  বাণিজ্যিক আমদানি কয়েকগুন বাড়ার পাশিপাশি সরকারের হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া প্যাকেজিংয়ের শুল্ক ৫ শতাংশ আরোপিত হলে বন্ড সুবিধার অপব্যবহার অনেকাংশে হ্রাস পাবে বলে সংগঠনটি মনে করে।

প্যাকেজিং পেপারে ভ্যাট ১৫শতাংশ করার দাবি জানিয়ে বলা হয়, যেহেতু ১৫শতাংশ বা আদর্শ হারে ভ্যাট প্রদান করা হয়, তাই  উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের ওপর ভ্যাট ১৫শতাংশ হওয়াই বাঞ্চনীয়। কাঁচামাল ক্রয়ে যেহেতু নিট মূল্যের ওপর ভ্যাট প্রদান করা হয়,  কাগজ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিকৃত ও বাজার হতে সংগৃহীত ওয়েস্ট পেপারের ওপর ভ্যাট আরোপ করে রেয়াতি সুবিধা দিয়ে ৫-৭.৫শতাংশ এর পরিবর্তে প্যাকেজিং পেপারে ভ্যাট ১৫শতাংশ করার অনুরোধ জানায় সংগঠনটি। আদর্শ হার ব্যতীত ভ্যাটের ক্ষেত্রে ভিডিএস কর্তন এর বিধান রাখা হয়েছে বর্তমান আইনে। ভ্যাট প্রদানকারী এবং আদায়কারী উভয়ই যদি ভিডিএস কর্তনকারী সত্তা হয়। তবে এই আইন উভয় কর্তনকারীর ক্ষেত্রে রহিত করার প্রস্তাব করা হয়। ক্ষুদ্র মাঝারি প্রতিষ্ঠানের জন্য এই আইন প্রতিপালন খুবই সমস্যাজনক। এক্ষেত্রে প্রিটিং ও প্যাকেজিং শিল্পে উৎসে আয়কর কর্তন না করার সুপারিশ সংগঠনটির।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা ৫২ সংশোধন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে রহিত করা হয়,  ফলে সমুদয় নিট আয় হতে অনেক বেশি পরিমাণ টাকা উৎসে আয়কর হিসাবে কর্তিত হয়ে যায়। যে সব প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক আমদানি করে তারা ৫শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রদান করে। তাই উৎসে আয়কর কর্তন ডাবল ট্যাক্সেশন হয়ে যায়। এই আদেশটি প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে একটি নির্দেশনা প্রয়োজন। প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং প্রতিষ্ঠানের জন্য উৎসে আয়কর কর্তন বাতিল করার দাবি জানানো হয়।

রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে লোকাল প্যাকেজিং শিল্পের ন্যায্য রেয়াত সুবিধা পুনর্বহালের লক্ষ্যে প্যাকেজিং পেপারের ওপর ভ্যাট ফাঁকি বন্ধের দাবি জানায় সংগঠনটি