বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক:
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৬তম জন্মদিন ঘটা করে উদযাপন করেছে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ। অনুষ্ঠানের কেন্দ্রস্থল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব ধরনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
করোনা মহামারীর কারণে এবার উপস্থিত হতে পারেননি শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে আয়োজকদের ধন্যবাদ দেয়ার পাশাপাশি সংগঠন পরিচালনায় নানা পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেন। পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদকে ১০০ ল্যাপটপ প্রদান করেন সংগঠনের উপদেষ্টা সাইফ পাওয়ারটেকের কর্ণধার তরফদার মো. রুহুল আমিন।
এছাড়া মেধাবী ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল ১ হাজার শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তির অংশ হিসেবে প্রতি মাসে জন প্রতি ১৫ শত টাকা করে মোট ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা অনুদান দেন তরফদার রুহুল আমিন।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. রকিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অয়োজিত অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের মহাসচিব মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম মোল্লা এবং সংগঠনের সভাপতি কে. এম শহিদ উল্যা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শহীদ শেখ রাসেল। আদরের ছোট ভাইয়ের জন্মদিন সামনে রেখে নানা স্মৃতিচারণা করেন প্রধানমন্ত্রী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেটে সপরিবারের নিহত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ঘাতকরা শিশু শেখ রাসেলকেও নির্মমভাবে হত্যা করে। ভবিষ্যতে বাংলার মাটিতে এ ধরনের নির্মম হত্যাকা- যাতে না ঘটে সেজন্য সকলকে দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, শিশুরা আগামীদিনের ভবিষ্যত। তাই তাদের প্রতি সহনশীল আচরণ এবং তাদেরকে প্রকৃত শিক্ষা-দীক্ষা মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তুলতে হবে। করোনা মহামারীতে স্কুল বন্ধু। তাই ঘরে বসেই শিশুদের পাঠদান চালিয়ে নেয়ারও পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ রাসেলের জন্মদিন সামনে রেখে দাবা প্রতিযোগিতা ছাড়াও নানা ধরনের সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দাবা এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জনকারী মেধাবী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা স্মারক ও পুরস্কার তুলে দেয়ার পাশাপাশি দাবা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।
সংগঠনের পক্ষ থেকে উপদেষ্টা তরফদার মো. রুহুল আমিনকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। গণভবন থেকে সরাসরি অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।