Home Second Lead চেক দিয়েই কেনা যাবে শেয়ার, নির্দেশনা জারি

চেক দিয়েই কেনা যাবে শেয়ার, নির্দেশনা জারি

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: গ্রাহকরা ব্রোকারেজ হাউস কিংবা মার্চেন্ট ব্যাংকের নামে অ্যাকাউন্ট পে চেক ইস্যু করার দিনই শেয়ার কিনতে পারবেন। তবে গ্রাহকের চেক যাতে ‘ডিজঅনার’ না হয় এজন্য বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা রেখে শর্তসাপেক্ষে ব্যাংকিং ইন্সট্রুমেন্টের মাধ্যমে শেয়ার কেনার অনুমতি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। চেক ডিজঅনার হলে সংশ্লিষ্ট গ্রাহক পরবর্তী এক বছর চেকে শেয়ার কিনতে পরবেন না। ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার পর শর্তসাপেক্ষে অ্যাকাউন্ট পে চেকে শেয়ার কেনার সুযোগ দিয়ে গতকাল নির্দেশনা জারি করেছে এসইসি।

এদিকে ‘চেক দিয়ে শেয়ার কেনা যাবে’এসইসি থেকে এমন নির্দেশনা আসার খবরে গত মঙ্গলবার দর বেড়েছে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শেয়ারের। তাতে মূল্যসূচকও বেড়েছে। এক দিনেই ফ্লোর প্রাইসে পড়ে থাকা ৩৫টি শেয়ারের দর বেড়েছে। এতে করে গতকাল লেনদেন শেষে ফ্লোর প্রাইসে পড়ে থাকা শেয়ারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫৭টিতে।

চেক নগদায়নের পূর্বে গ্রাহককে শেয়ার কিনে দেওয়া হলে তা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯-এর ১৬(এ) ধারার লঙ্ঘন হবে। তাই চেক নগদায়নের পূর্বে তা দিয়ে শেয়ার কেনা যাবে না, ২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বর এমন নির্দেশনা জারি করে এসইসি। তবে সেই নির্দেশনার পর থেকে পুঁজিবাজারে ধস নামে এবং চাপের মুখে ৮ ডিসেম্বর নির্দেশনার কার্যকারিতা স্থগিত করে এসইসি। তবে প্রায় এক যুগ পর আবারও চেকে শেয়ার কেনা যাবে না গত ১১ অক্টোবর এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। এরপর বাজার পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকলে নির্দেশনাটি জারির তিন সপ্তাহ পর এ বিষয়ে নতুন আদেশ দিল সংস্থাটি।

গতকাল জারি করা এসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, স্টক ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট পে চেক বা পেমেন্ট অর্ডার বা ডিমান্ড ড্রাফট বা বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত কোনো পদ্ধতিতে অর্থ হস্তান্তরের মাধ্যমে শেয়ার কেনার সুযোগ দিতে পারবে।

তবে শর্ত থাকবে, সংশ্লিষ্ট স্টক ব্রোকার বা মার্চেন্ট ব্যাংককে ওই চেক যেদিন পাবে, সেই দিন বা পরদিনই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের সমন্বিত ব্যাংক হিসাবে জমা করবে। এক্ষেত্রে ব্যর্থতার দায় সংশ্লিষ্ট ব্রোকার বা মার্চেন্ট ব্যাংকের। এ ব্যর্থতায় ওই ব্রোকার বা মার্চেন্ট ব্যাংক অন্তত এক বছরের জন্য আইপিও বা আরপিও বা কিআইওতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হিসেবে শেয়ার কেনার আবেদনের যোগ্যতা হারাবে।

কমিশন এক্ষেত্রে আরও শর্ত দিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চেক বা পে অর্ডার বা ডিমান্ড ড্রাফট জমা হওয়ার পর তা যদি ডিজঅনার হয়, সেক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট ব্রোকার বা মার্চেন্ট ব্যাংককে তার নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সমপরিমাণ অর্থ গ্রাহকদের সমন্বিত ব্যাংক হিসাবে জমা করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যর্থতায় ওই ব্রোকার বা মার্চেন্ট ব্যাংককে অন্তত এক বছরের জন্য আইপিও বা আরপিও বা কিআইওতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হিসেবে শেয়ার কেনার আবেদন করতে পারবে না। এছাড়া সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে পরবর্তী এক বছরের জন্য চেক দিয়ে শেয়ার কেনার সুযোগ দেওয়া বন্ধ রাখবে।

গতকালের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে সকল ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংক আগের মাসের এ ধরনের ব্যর্থতার বিষয়ে পূর্ণ তালিকা এসইসির কাছে পাঠাতে হবে। কমিশনের এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে স্টক এক্সচেঞ্জকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে জটিলতা এড়াতে স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংককে তাদের গ্রাহকদের শেয়ার কিনতে আরটিজিএস বা ইএফটিএনের মতো অনলাইনে ফান্ড ট্রান্সফার সুবিধা ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে পরামর্শ দিয়েছে।