বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: ফের ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরেছে দেশের পুঁজিবাজার পরিস্থিতি। বিদ্যুতে লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি না হলেও ডলারের উত্তাপ কিছুটা কমেছে। আর এতেই ইতিবাচক ধারা তৈরি হয়েছে বাজারে। সাইড লাইনে থাকা বিনিয়োগকারীরা ফিরতে শুরু করায় টানা পাঁচ দিন ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে পুঁজিবাজারের সূচক ও লেনদেন।
সোমবার প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন এক হাজার ৪৭৭ কোটি ছাড়িয়েছে। এ লেনদেন গত ২৩ জানুয়ারির পর বা গত সাত মাসের সর্বোচ্চ। একই সময়ে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স টানা পাঁচ কার্যদিবস ১৫১ পয়েন্ট বেড়ে এক মাস পর ফের ৬৩০০ পয়েন্টের মাইলফলক পার করেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, কিছু প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীসহ ব্যক্তিশ্রেণির বড় বিনিয়োগকারীরা নতুন করে বিনিয়োগ শুরু করেছেন। অনেক নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারী সক্রিয় হচ্ছেন শেয়ার লেনদেনে। এমনকি গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যেসব বড় বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রি করে বিনিয়োগ তুলে নিয়েছিলেন, তারাও এখন লেনদেনে ফিরছেন। এতে করে শেয়ার ক্রয়ে চাপ কিছুটা বাড়ছে, লেনদেনেও গতি তৈরি হয়েছে।
তবে সার্বিকভাবে লেনদেন বাড়লেও বরাবরের মতো অল্প কিছু শেয়ারেই তা সীমাবদ্ধ। অনেক শেয়ার এখনো ফ্লোর প্রাইস বা ফ্লোর প্রাইসের কাছাকাছি দরে কেনাবেচা হচ্ছে এবং শেয়ার কেনাবেচাও তুলনামূলক অনেক কম। তবে ফ্লোর প্রাইস ছেড়ে কিছু শেয়ারের উঠে আসার চেষ্টাও আছে। বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজ কর্মকর্তারা জানান, এখন ‘আইটেম ধরে’, অর্থাৎ নির্দিষ্ট শেয়ার নিয়ে বড় বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ, পুরো বাজার নিয়ে নয়।
এমন পরিস্থিতিতে গতকাল ডিএসইতে কেনাবেচা হওয়া ৩৮০ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৬৪টির দর বেড়েছে, কমেছে ১১৬টির এবং অপরিবর্তিত থেকেছে ৯৯টির দর। এ ৯৯টির মধ্যে ৫৯টি ফ্লোর প্রাইসে কেনাবেচা হয়েছে।