Home First Lead শেয়ারবাজারে হতাশার ছাপ

শেয়ারবাজারে হতাশার ছাপ

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: বাজেট নিয়ে হতাশা দেখা দিয়েছে পুঁজিবাজারে।  বাজেট-পরবর্তী প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে অধিকাংশ শেয়ারের দর হ্রাসে সূচকের বড় পতন হয়েছে। কমে গেছে লেনদেনে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যাও।

শেয়ারের দরপতনের সীমা সীমিত থাকার মধ্যেই গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কেনাবেচা হওয়া ৮০ শতাংশ শেয়ারের দর হ্রাসে প্রধান মূল্যসূচকটি কমেছে প্রায় ৪৯ পয়েন্ট। কেনাবেচা আগের দিনের তুলনায় ১৬ শতাংশ কমে ৬৩৬ কোটি টাকায় নেমেছে। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) নির্বাচিত খাতসমূহের সূচক কমেছে ৮১ পয়েন্ট। স্টক এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন কমেছে ৩৪ শতাংশ।

গত ৯ জুন অর্থমন্ত্রী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন। কিন্তু এই বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য আলাদা করে কিছুই রাখা হয়নি। আবার করপোরেট করহার আড়াই শতাংশীয় পয়েন্ট কমানোর যে প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী দিয়েছেন, সেখানেও পুঁজিবাজারের কোম্পানিগুলোর কঠিন শর্ত দেওয়া হয়েছে। ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারে আনতে কোনো সুবিধা রাখেননি তিনি। প্রায় দেড় যুগ ধরে সরকারি লাভজনক কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির কথা বলা হলেও চলতি বাজেটে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য নেই। অথচ দেশের পুঁজিবাজার ভালো কোম্পানির আইপিও সংকটে ভুগছে।

বাজারসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগামী অর্থবছরের বাজেটে করপোরেট কর কমানোর যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার সুবিধা পুঁজিবাজারের এক-তৃতীয়াংশ কোম্পানি পাবে না। ব্যাংক, বীমা, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মার্চেন্ট ব্যাংক, মোবাইল ফোন অপারেটর, তামাক কোম্পানির করহার অপরিবর্তিত রয়েছে।

যদিও প্রাক-বাজেটে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা পুরনো কিছু যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এর মধ্যে অন্যতম প্রস্তাব ছিল করমুক্ত লভ্যাংশ আয়ের সীমা বাড়ানো, লভ্যাংশ আয়ের দ্বৈত কর প্রত্যাহার, স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেনের ওপর ধার্য উৎসে কর কমানো, কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ বহাল রাখা ইত্যাদি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মূল্যস্ফীতি ও ডলার সংকটকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, সেই বিবেচনায় দাবিগুলো পূরণের প্রত্যাশা ছিল বাজারসংশ্লিষ্টদের। কিন্তু সেগুলোর কোনোটিই পূরণ হয়নি। অর্থমন্ত্রী পুঁজিবাজার নিয়ে কিছুই বলেননি। ফলে বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়েছেন, যার প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারের লেনদেনে।