- এমভি এশিয়াটিক মুন পৌঁছেছে বহির্নোঙরে
- জুলাইর দ্বিতীয় সপ্তাহে আরও একটি পরিষেবা
কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম: শ্যামাপ্রসাদ ও চট্টগ্রামের মধ্যে নতুন জাহাজ পরিষেবা শুরু হলো। ৩০০ টিইউস কন্টেইনার নিয়ে সিঙাপুর পতাকাবাহী একটি জাহাজ সোমবার বহির্নোঙরে পৌঁছেছে এই পরিষেবার আওতায়।
বেঙল টাইগার লাইন্স-এর সহায়তায় শুরু নতুন পরিষেবা। গার্মেন্টস এবং স্টিলপণ্য চালান নিয়ে জাহাজটি নোঙর ফেলেছে বেলা আড়াইটার দিকে। চট্টগ্রাম বন্দরের রেডিও কন্ট্রোল তা নিশ্চিত করেছে।
সিঙাপুর পতাকাবাহী জাহাজটির নাম এমভি এশিয়াটিক মুন।গত শুক্রবার কলকাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর থেকে নোঙর তুলে।
শ্যামাপ্রসাদ থেকে আগেও কন্টেইনার নিয়ে ছোট ছোট বার্জ এসেছে। তবে, বড় জাহাজ এই প্রথম। এশিয়াটিক মুন ৬০০ টিইউস কন্টেইনার আনা-নেয়া করতে পারবে।
বেঙল টাইগার লাইন্স-সূত্রে জানা গেছে, এমভি এশিয়াটিক মুন নিয়মিত চলাচল করবে শ্যামাপ্রসাদ ও চট্টগ্রামের মধ্যে। তারা নতুন পরিষেবাটিকে বেশ সম্ভাবনাময় হিসেবে দেখছে। পেট্রাপোল-বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে বছরে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়। সাতক্ষীরা, ভোমরা দিয়েও রপ্তানি হয়। এ সব বিবেচনায় কলকাতা-চট্টগ্রাম পথের নতুন সার্ভিসটি বেশ সফল হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
তবে, ফিরতি যাত্রায় তেমন কার্গো পাওয়ার সম্ভাবনা কম বলে জানালেন চট্টগ্রামে শিপিং সংশ্লিষ্টরা। কারণ কলকাতার জন্য রপ্তানি পণ্য তেমন নেই। ফিরতি পথে প্রধানত বিভিন্ন শিপিং কোম্পানির খালি কন্টেইনার নিয়ে যাবে। সেই সঙ্গে স্বল্প সংখ্যক রপ্তানি পণ্যভর্তি কন্টেইনার।
স্থানীয় এজেন্ট ট্রাইডেন্ট শিপিং লাইন লিমিটেড-এর জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) কাজী শহীদ মাহমুদ বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধিকে জানান, প্রতি মাসে ৩ বার আসা-যাওয়া করবে এশিয়াটিক মুন। আমদানি পণ্যের কন্টেইনার খালাস করে ফেরার পথে এখান থেকে রপ্তানিপণ্য বোঝাই কন্টেইনার এবং বিভিন্ন এমএলও’র খালি কন্টেইনার কলকাতায় নিয়ে যাবে।
১৪৮.৫৩ মিটার দীর্ঘ এশিয়াটিক মুন ২০০৬ সালে নির্মিত। পরিবহন ক্ষমতা ১১৫৫ টিইউস।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, জুলাইর দ্বিতীয় সপ্তাহে অনুরূপ আরও জাহাজ পরিষেবা শুরু হচ্ছে। শ্যামাপ্রসাদ-চট্টগ্রাম-পোর্ট ক্ল্যাং-শ্যামাপ্রসাদ রুটে চলাচল করবে এমভি এক্স-প্রেস গোডাভারি। এর অপারেটর এক্স-প্রেস ফিডারস। মাল্টা পতাকাবাহি জাহাজটি ২০০৮ সালে তৈরি। পরিবহন ক্ষমতা ৯১৭ টিইউস।