নিয়ামতপুরে শুকিয়ে গেছে মাঠের পানি, আমন চাষাবাদ ব্যাহত
নিয়ামতপুর ( নওগাঁ) থেকে মো. ইমরান ইসলাম: নিয়ামতপুর উপজেলায় বৃষ্টির অভাবে কৃষকেরা আমন ধানের চারা রোপন করতে পারছে না।কেউ কেউ আমন ধানের চারা রোপন করলেও পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় মাঠে পানি শুকিয়ে গেছে। চারা রোপন করা অনেক জমি পানির অভাবে ফেটে যাচ্ছে।
শ্রাবণ মাসের প্রায় ১০দিন পার হয়ে গেলেও পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপণ করতে হিমশিম খাচ্ছে।গ্রাম বাংলায় একটি প্রবাদ আছে ‘শ্রাবণের ১০ থেকে ভাদ্র মাসের প্রথম সপ্তাহ’ এর মধ্যে যত পারো আমন ধানের চারা রোপণ করো। শ্রাবণ মাসে অধিক বৃষ্টির কারণে আমন ধানের চারা রোপণের মোক্ষম সময় হলেও এবার কৃষকরা পড়েছে বিপাকে। ফলে বৃষ্টির অভাবে শ্রাবণ মাসে আবাদি জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।অথচ শ্রাবণ মাসের ১০ তারিখ পার হলেও বৃষ্টির দেখা মিলছে না। আকাশে মেঘের ভেলা ভেসে বেড়ালেও বৃষ্টি হচ্ছে না। আর মাঝে মাঝে যে বৃষ্টি হচ্ছে, তা চাহিদার তুলনায় এতই নগণ্য যে ফেটে চৌচির হয়ে যাওয়া জমি সাথে সাথেই ওই পানি শুষে নিচ্ছে । উচ্চ ও মধ্যবিত্ত কৃষকরা সেচ পাম্প দিয়ে পানি তুলে আমন ধান রোপন শুরু করলেও বর্গা ও গরিব চাষীরা পড়েছে বেকায়দায়।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শ্রাবণ মাসের ১২ দিন পার হয়ে গেলেও জমিতে পানি নেই। প্রচণ্ড রোদে মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। আর যারা আগাম চাষ দিয়ে রেখেছেন, ওই সব জমিতে কাদার পরিবর্তে মাটি ফেটে আগাছা জন্মেছে। ভরা বর্ষা মৌসুম চললেও বৃষ্টির অভাবে প্রচণ্ড রোদে পুড়ছে আবাদি জমি।
কৃষক আমিনুর রহমান জানান, শ্রাবণ মাস আসলে জমিতে বৃষ্টির পানি থইথই করে। কিন্তু এবার পানির অভাবে জমি ফেটে গেলেও এখন পর্যন্ত বৃষ্টির পানির দেখা পাই নাই। এভাবে যদি চলে তাহলে তো জমি পড়ে থাকবে। যারা চারা রোপন করেছে তাদের ধানও ভালো হবে না। চারা যে লাগাবো সেই পানিও দিতে হচ্ছে সেচ পাম্প দিয়ে। চাষের ব্যয় বাড়ছে তাতে।