বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: বিশ্বব্যাপি বিরাজমান করোনাভাইরাসের জেরে বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প ভয়াবহ সংকটে। তা থেকে উত্তরণে বিদ্যমান ব্যাংকঋণের সুদ ৬ মাসের জন্য মওকুফ করাসহ একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টারস এসোসিয়েশন (বিজিএমইএ )।
বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক আজ রবিবার এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে জরুরি পত্র দিয়েছেন আর্থিক ও নীতিগত সহায়তা চেয়ে । উল্লেখ করেন আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ও ক্রেতারা তাদের বর্তমান ক্রয়াদেশসমূহ স্থগিত করছে। চলতি শিপমেন্টগুলো ধরে রাখার জন্য বলেছে তারা। কেবল তা নয়, ভবিষ্যৎ ক্রয়াদেশসমূহ ব্যাপকভাবে কমিয়ে দেয়া হয়েছে। চলতি বছরে এপর্যন্ত প্রায় ২৬ শতাংশ রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে।
বিজিএমইএ যে একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যাক টু ব্যাক এলসি সময়মত পরিশোধ করা না হলে ফোর্স লোন সৃষ্টি না করা এবং পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানো, বিদ্যমান ঋণের সুদ ৬ মাস মওকুফ করা এবং ঋণ ব্লক একাউন্ট হিসেবে গণ্য করা, ঋণ শ্রেণিবিন্যাসের সময়সীমা ১৮০ দিন করা, আগামী ৬ মাসের জন্য ৩ বছর মেয়াদি সুদমুক্ত ঋণ প্রদান, এরজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় রিফাইনেন্সিং করা, আগামী ৬ মাসের মজুরি বোনাস ইউটিলিটি ও ওভারহেড ব্যয় মেটানোর জন্য সুদমুক্ত ঋণ মার্কিন ডলারে বা স্থানীয় মুদ্রায় প্রদান, ঋণের অর্থ প্রথম ৬ মাস প্রদেয় হবে না এবং পরবর্তী ৩০ মাসে সমান কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য করা ইত্যাদি। এরজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক রিফাইনেন্সিং স্কিমের আওতায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সহায়তা প্রদান করতে হবে।
ড. রুবানা হক উল্লেখ করেন, বিরাজমান পরিস্থিতিতে শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা কমে গেছে। তা বিবেচনায় নিয়ে আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিটেনশন ভ্যালুর ওপর ডলার প্রতি ৫ টাকা হারে প্রদান করা আবশ্যক। তা করা হলে প্রয়োজন হবে ৩ হাজার কোটি টাকার মত।