মো. নুরুজ্জামান হোসেন, হিলি ( দিনাজপুর ) থেকে: প্রতিবেশি ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে সজনে ডাঁটা। ৯ দিনে এসেছে প্রায় ৪৬ টন। ট্রাকভর্তি সজনে এখান থেকে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
হিলি স্থলবন্দরে সজনের পাইকারি দর কেজি ১৫০ টাকা। সেখান থেকে বাইরে এলে খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজি ২৪০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা।
হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ২০ ফেব্রুয়ারী থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ১৬টি ভারতীয় মিনি ট্রাকে ৪৫.৫৫২ মেট্টিক টন সজনে ডাটা আমদানি হয়েছে । আমদানিকারক হিলি শিপিং ট্রেডিং নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের প্রতিনিধি মাহবুবুল আলম জানান, ঢাকা সহ দেশের বাজারে বারোমাসি সজনের চাহিদা রয়েছে। ভারতের নাসিক থেকে আমরা আমদানি করছি। ডাটা স্থানীয় কাঁচাবাজার সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আমরা সরবরাহ করছি। বন্দর থেকে পাইকারি ১৫০ টাকা কেজি দরে সজনে ডাটা বিক্রি হচ্ছে।
সিএন্ডএফ এজেন্টরা জানান, ভারত থেকে প্রতিদিন সজনে ডাঁটার বোঝাই নিয়ে ট্রাক আসছে। যাচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ।
হিলি স্থলবন্দর পরিচালনাকারী পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সজনে আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। সজনে পচনশীল, তাই এটি যাতে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান দ্রুত সময়ে বাজারজাত করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে পানামা ।
হিলি খুচরা বাজারের কাঁচামাল বিক্রেতা মোমিন হোসেন বলেন, বাজারে এখনও দেশীয় জাতের সজনে সরবরাহ নেই। ভারত থেকে আমদানি করা সজনে ডাটা ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে, বেশি দাম হওয়ায় বিক্রি কম।
পুষ্টিবিদদের মতে ক্যালোরিয়াম, খনিজ লবণ ও আয়রনসহ প্রোটিনযুক্ত খাদ্য সজিনা ডাটাতে পাওয়া যায়। এছাড়া ভিটামিন এ, বি ও সি সমৃদ্ধ সজনে ডাটা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারি। প্রসূতি মায়েদের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারি ও ফলদায়ক বলে ওষুধি সবজি হিসেবে এর ব্যাপক চাহিদা। এছাড়াও এই গাছের ছাল ও পাতা রক্ত আমাশয় প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে বলে চিকিৎসকরা জানান।
বসন্তের শেষের দিকে বাজারে ওঠে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সজনে ডাঁটা । সজনের তরকারি এবং সজনের ডাল অনেকের কাছেই বেশ প্রিয় একটি খাদ্য। শুধু সজনের ডাঁটাই নয়, সজনের পাতাও শাক হিসেবে খাওয়া যায়। সজনে ডাঁটা দিয়ে রান্না করা মজাদার তরকারি এই গরমে তৃপ্ত করে।