লক্ষ্য ৮৬,৬৮৫ কোটি টাকা, ৮ মাসে বিক্রি ৭৫,১০৩ কোটি টাকা
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: নানা কঠোর ব্যবস্থা সত্ত্বেও সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমেনি, বেড়ে চলেছে। চলতি অর্থবছরের ৮ মাসে বিক্রি হয়েছে ৭৫ হাজার কোটি টাকার। তা গত অর্থবছরের পুরো সময়ে যে পরিমাণ সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল তারচেয়েও ১২ শতাংশ বেশি।
বিক্রি যে গতিতে বাড়ছে, তা অব্যাহত থাকলে অর্থবছর শেষে এবার মোট বিক্রি লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরসূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি আট মাসে সব মিলিয়ে ৭৫ হাজার ১০৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট ৬৭ হাজার ১২৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল। সঞ্চয় অধিদপ্তর ২০২০-২১ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির মোট লক্ষ্য ধরেছে ৮৬ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে সুদ-আসল বাবদ শোধ করতে হবে ৬৬ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা। নিট বিক্রির পরিমাণ দাঁড়াবে ২০ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা। অর্থাৎ বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার এই ২০ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেবে।
সরকার চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে যে টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্য ধরেছিল, তার ৪৩.৪৭ শতাংশ বেশি ঋণ আট মাসেই নিয়ে ফেলেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্য ধরেছিল সরকার। বিক্রি কমায় বছরের মাঝামাঝিতে এসে সেই লক্ষ্য কমিয়ে ১১ হাজার ৯২৪ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। কিন্তু গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে হঠাৎ করেই বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণের পরিমাণ অর্থবছর শেষে ১৪ হাজার ৪২৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকায় গিয়ে ঠেকে।
গত বছরের ১ জুলাই থেকে সঞ্চয়পত্রে মুনাফার ওপর উৎসে করের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। এক লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে টিআইএন (কর শনাক্তকরণ নম্বর) বাধ্যতামূলক করা হয়। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলে সঞ্চয়পত্র বিক্রি না করার শর্ত আরোপসহ আরো কিছু কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ফলে বিক্রি কমছিল। কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথম থেকে আবারও বেড়ে গেছে।