Home ব্যাংক-বিমা আয়কর রিটার্ন ছাড়া ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র নয়

আয়কর রিটার্ন ছাড়া ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র নয়

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: এখন থেকে ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে হলে অবশ্যই সর্বশেষ বছরের আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। পাশাপাশি ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক-এ হিসাব খুলতেও রিটার্ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। দেশে কার্যরত সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ সার্কুলার পাঠানো হয়েছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, সঞ্চয়পত্র ও ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক হিসাবে ৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থ আইন, ২০২২-এর ৪৮ ধারা যথাযথ পরিপালনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে। সেই মোতাবেক ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক হিসাবসমূহ এবং সঞ্চয়পত্রে ৫ লাখ টাকার অধিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ইস্যু অফিসে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল করতে হবে। অর্থাৎ আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রাপ্তি স্বীকার পত্র দেখাতে হবে।

তাছাড়া, করদাতার কর শনাক্তকরণ নম্বর, নাম ও রিটার্ন দাখিলকৃত অর্থবছরের তথ্যসংবলিত সিস্টেম জেনারেটেড সনদপত্র দেখাতে হবে। তবে, আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪-এর প্রতিস্থাপন সেকশন ১৮৪-এ এর সাব-সেকশন ৯ অনুযায়ী, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্রের পরিবর্তে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) দাখিল করতে হবে। এছাড়া, এই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে টিআইএন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অর্থাৎ টিআইএন এবং আয়কর রিটার্ন জমা না দিয়ে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা যাবে না। উল্লেখ্য, আগে ২ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে টিআইএন নম্বর দিতে হতো। চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রে যে কোনো পরিমাণ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে টিআইএন বাধ্যতামূলক এবং ৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করলে এবং ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক হিসাবে আয়কর রিটার্ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আয়কর আদায় বাড়াতে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে বেশ কিছু ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। এগুলোর অনেক ক্ষেত্রে আগে শুধু কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন সনদ) জমা দিলেই হতো। এখন থেকে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। যদি ব্যাংক হিসাব থাকে, তাতে যেভাবেই হোক ক্রেডিট ব্যালান্স ১০ লাখ টাকা অতিক্রম করলে ব্যাংককে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দিতে হবে। একই ঘটনা ঘটবে ৫ লাখ টাকার বেশি ব্যাংক ঋণ আবেদনে বা ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার ক্ষেত্রেও।