হবিগঞ্জ থেকে মাসুদ লস্কর: মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি দমন কমিশন(দূদক) এর উদ্যোগে স্থাপিত সততা স্টোরের বাস্তবে কোনো অস্তিত্ব নেই।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ ও সততা চর্চার জন্য উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় ২০১৯ সালের বিভিন্ন সময়ে মাধবপুর উপজেলার ২৭ টি উচ্চ বিদ্যালয় ও ১ টি মহাবিদ্যালয়ে সততা স্টোর চালু করে দূদক হবিগঞ্জ অফিস।
প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সততা স্টোর নামে পৃথক কর্ণার চালু করা হয়।
বিক্রেতাবিহীন এসব স্টোরে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় কিছু প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে এনে প্রতিটি পণ্যের গায়ে মূল্য উল্লেখ করা লেভেল লাগিয়ে স্টোরে রাখার পর প্রয়োজনমত শিক্ষার্থীরা একটি বাক্সে মূল্যের সমপরিমান টাকা রেখে জিনিষটি নিয়ে নেবে এই কনসেপ্ট থেকে সততা স্টোরগুলো চালু করা হয়। কিন্তু কয়েকমাস না যেতেই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এগুলো বন্ধ হয়ে যায়।
জানতে চাইলে কয়েকটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সততা স্টোরগুলো বন্ধ বলে উল্লেখ করেছেন।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায় সততা ষ্টোর এর শেল্ফ -এর করুণ অবস্থা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাধবপুর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল হুসেন বলেন, করোনার কারণেই মুলত তা বন্ধ হয়েছে। তবে শীঘ্রই তা চালুর ব্যবস্থা করব।
দূদক হবিগঞ্জ সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ এরশাদ মিয়া জানিয়েছেন, সবগুলোতে নয় তবে বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সততা স্টোর চালুর জন্য দূদকের পক্ষ থেকে ৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার প্রাথমিক পুঁজি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। করোনার কারণে সততা ষ্টোর বন্ধ হলেও প্রতিষ্ঠান খোলার সাথে সাথে কর্তৃপক্ষ তা আবার চালু করবে। পুজি তো কমেনি। তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ চর্চার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদেরই উদ্যোগী হয়ে সততা স্টোরগুলো চালু রাখা উচিত।
মাধবপুর উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ সিরাজুল হক জানান, করোনার কারণে একটা গ্যাপ তৈরী হয়েছে। তবে সততা স্টোরগুলো চালু থাকা উচিত।