বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: সড়ক পথের সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে ট্রাকে এবং দুর্ঘটনার প্রধান কারণ বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো। ফেব্রুয়ারির সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে পাওয়া গেছে এই পরিসংখ্যান।
আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে প্রতিবেদনটি। তাতে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারিতে পথ দুর্ঘটনার বলি হয়েছে ৫৩৪ জন। ১১৬৯জন আহত হয়েছে।
ফেব্রুয়ারীতে ৫০৪টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। একই সময় রেলপথে ৫৬টি দুর্ঘটনায় ৪৮জন নিহত, ১৩জন আহত হয়েছে। নৌ-পথে ০৯টি দুর্ঘটনায় ৪০জন নিহত, ৫৬জন আহত এবং ৬৪জন নিখোঁজ হয়েছে।
মোট দুর্ঘটনার ১৫.৭৫ শতাংশ বাস, ২৭.৯৩ শতাংশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান, ৪.৩০ শতাংশ কার-জীপ-মাইক্রোবাস, ৮.১৭ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ২০.৯৫ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১০.৫৪ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ১২.৩৩ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা ।
মোট দুর্ঘটনার ৫৭.৫৩ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ১৮.০৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৬.৬৭ শতাংশ খাদে পড়ে, ৫.৯৫ শতাংশ বিবিধ কারনে, ০.৫৯ শতাংশ চাকায় ওড়না পেছিয়ে এবং ১.৩৮ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো হলো:
১। বেপরোয়া গতিতে গাড়ী চালনা। ২। বিপদজনক ওভারটেকিং। ৩। রাস্তা-ঘাটের ক্রটি। ৪। ফিটনেস বিহীন যানবাহন। ৫। যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা। ৬। চালকের অদক্ষতা। ৭। চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেড ফোন ব্যবহার। ৮। মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো। ৯। রেলক্রসিং ও মহাসড়কে হঠাৎ ফিডার রোড থেকে যানবাহন উঠে আসা। ১০। রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা । ১১। ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ। ১২। ছোট যানবাহন বৃদ্ধি।