Home First Lead দাম বেড়েছে রান্নার তেলের। কত টাকায় কিনতে হবে এবার?

দাম বেড়েছে রান্নার তেলের। কত টাকায় কিনতে হবে এবার?

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: রান্নাতে তেলের ভূমিকা অপরিসীম। তেল ছাড়া রান্নার কথা ভাবতে পারেন না প্রায় কেউই। নিত্য প্রয়োজনীয় এই সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে আজ মঙ্গলবার।

বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৪ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১২ টাকা বাড়ানো হয়েছে। সচিবালয়ে ভোজ্যতেলের আমদানি ও সরবরাহসহ সার্বিক বিষয়ে আয়োজিত পর্যালোচনা সভা শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই দর অনতিবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়।

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন তেলের দাম বাড়ানোট ঘোষণা দিয়েছিল। তবে সরকারের সিদ্ধান্ত না আসায় সেই দাম কার্যকর হয়নি।

গত বছরের ৯ ডিসেম্বর সর্বশেষ বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন লিটারপ্রতি দাম নির্ধারণ করা হয় ১৭৫ টাকা।

সয়াবিন তেল অপরিশোধিত (ক্রুড) অবস্থায় এনে দেশে পরিশোধন করে তারপর বাজারজাত করছেন উদ্যোক্তারা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বড় হয়ে ওঠা এ ভোজ্যতেলের বাজারে এখন নেতৃত্ব দিচ্ছে টি কে গ্রুপ, সিটি, এস আলম ও মেঘনা গ্রুপ—এ চার করপোরেট প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে টিকে গ্রুপ রয়েছে শীর্ষস্থানে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল আমদানি শুল্কায়ন বিবেচনায় নিলে গত এক বছরে ভোজ্যতেল আমদানির ৯০ শতাংশই এ চার প্রতিষ্ঠানের অধীনে হয়েছে।

বাসাবাড়িতে বোতলজাত সয়াবিন তেলের চাহিদাই বেশি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, দেশে ভোজ্যতেল আমদানি হচ্ছে প্রধানত বাণিজ্যিক ও শিল্প সুবিধার ভিত্তিতে। এর মধ্যে শিল্প খাতে দেয়া সুবিধা ভোগ করছে দেশের শীর্ষ কয়েকটি করপোরেট প্রতিষ্ঠান। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলো শুরুতেই কর পরিশোধ না করে ট্যাংকে রাখা তেল খালাসের সময় ধাপে ধাপে পরিশোধের সুযোগ পায়। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সুবিধায় আমদানি হওয়া ১৮ লাখ ২১ হাজার টন (পরিশোধিত ও অপরিশোধিত) ভোজ্যতেলের শুল্কায়ন করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এর মূল্য ১১ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা।  এই হিসাব ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের।

এনবিআরের আমদানি তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, পাম অয়েল ও সয়াবিন তেল অপরিশোধিত ও পরিশোধিত আকারে আমদানি হয়। অপরিশোধিত অবস্থায় আমদানি করা ভোজ্যতেল স্থানীয়ভাবে পরিশোধনের পর বাজারজাত করা হয়। আমদানি বেশি হয় প্রধানত পাম অয়েল।