বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: সরকারি ঘোষণার পরেও কমেনি আলুর দাম। কেজি ৪৫ টাকার কমে পাওয়া যাচ্ছে না।
সরকার প্রতিকেজি আলুর দাম ৩০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু সেই দামে কোথাও বিক্রি হচ্ছে না। রিয়াজউদ্দিন বাজারে আড়তে বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকা কেজি। বিক্রির কথা ২৫ টাকা। আবার ৩৮ টাকার সেই আলু অদূরে খুচরা দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা।
সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর দাম ২৩ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ২৫ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৩০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। নগরীতে এ দামে কোথাও আলু বিক্রি হচ্ছে না। রিয়াজউদ্দিন বাজার, কর্ণফুলী মার্কেট, বকশির হাট, ফিরিঙ্গিবাজার কোথাও না। নগরীর বাইরে হাটে-বাজারে আরও বেশি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আড়তে এবং খুচরা দোকানিদের কাছে প্রচুর মজুত রয়েছে। দাম যখন উর্ধমুখী ছিল তখন তারা অধিক পরিমাণে স্টক করেন।
রিয়াজউদ্দিন বাজারে রয়েছে আড়ৎ। এখানে প্রধানত মুন্সিগঞ্জের পাইকাররা আলু পাঠান। তাদের নির্ধারিত দরে বিক্রি করেন আড়ৎদাররা। দাম যখন ক্রমাগত উর্ধমুখী ছিল তখন প্রতিদিন গড়ে ১২ ট্রাক আলু পাঠানো হতো। গত কয়েকদিনে ২/৩ গাড়ির বেশি আসে না। প্রতি ট্রাকে আলু ধরে ১৪ টন।
আড়ৎদারদের কয়েকজন জানালেন, দর যখন বৃদ্ধি পাচ্ছিল তখন চাহিদাও ছিল বেশি। এক একজন খুচরা দোকানি ৮/১০ বস্তা করে নিয়েছেন। এখন তেমন কেউ আসেন না। যারা আসছেন তারা দু’তিন বস্তার বেশি নেন না।
শহরে এবং বাইরে দোকানিদের কাছে বিপুল পরিমাণে আলু রয়েছে। চড়া দরে ভোক্তারা আলু কিনতে চাচ্ছেন না, বিকল্প বিভিন্ন সবজি কিনছেন।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ২৫ টাকা দরে বিক্রি করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রবিবার ১৮ অক্টোবর কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন, আলুর পাইকারি বিক্রেতা, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় এ তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বলেন, বাজারে সরকার–নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি নিশ্চিত করা হবে। এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কাজ করছে।