বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: ভোগ্যপণ্য আমদানি ও সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার জন্য টাস্কফোর্স গঠন ও সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিসসমূহ খণ্ডকালীন খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছে দেশের প্রধান চেম্বার- চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব বরাবরে আজ শুক্রবার এ ব্যাপারে পত্র দিয়েছেন চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।
পত্রে তিনি বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের ব্যবসা বাণিজ্য, শিল্পোৎপাদন, আমদানি-রপ্তানি, বিনিয়োগ তথা প্রাইভেট সেক্টরকে সহায়তা করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক গৃহিত ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্যাকেজ কারর্যক্রমের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, করোনা ভাইরাস জনিতকারণে সরকারি সাধারণ ছুটি চলমান রয়েছে। সারা দেশে সবধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য, জরুরী ঔষধ ও কাঁচামাল ইত্যাদি আমদানি ও সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। তবে, এসব পণ্য বন্দর থেকে ছাড়করণ এবং সারা দেশে পরিবহনের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরসমূহ খণ্ডকালীন খোলা রাখা অত্যন্ত জরুরি বলে চেম্বার সভাপতি মনে করেন।
এ প্রসঙ্গে ৬ টি সুপারিশ পেশ করা হয় পত্রে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-
- ভোগ্যপণ্য আমদানি ও সরবরাহের ক্ষেত্রে সহায়তার লক্ষ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, আমদানি রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও এনবিআর সমন্বয়ে এই টাস্কফোর্স গঠন করা হলে তা নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখার ক্ষেত্রে বর্তমান দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে অত্যন্ত ফলপ্রসু হবে বলে উল্লেখ করা হয় পত্রে।
- আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য প্রধান আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, ঢাকা এবং চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয় খোলা রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন।তাতে প্রয়োজনীয় সরকারি অনুমতিপত্র সংগ্রহ করে কাঙ্খিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
- বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন ও এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ইস্টার্ন রিফাইনারি, এলপি গ্যাস লিমিটেড ইত্যাদি চালু রাখার মাধ্যমে দেশে জ্বালানি সরবরাহ অব্যাহত রাখা জরুরি। এতে গ্যস, বিদ্যুৎ ইত্যাদি উৎপাদন ও বিতরন ব্যবস্থা সচল রাখা সম্ভব হবে।
- নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসমূহ সারা দেশে পরিবহন অব্যাহত রয়েছে তাই এসব পরিবহনের রেজিস্ট্রেশনও প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নবায়নের জন্য বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি(বিআরটিএ) খোলা রাখা দরকার।
- প্রয়োজনীয় সেবাদানকারি ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের পরিবেশগত ছাড়পত্র আবশ্যক যা যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে নবায়ন করতে হয়। তাই এইসব প্রতিষ্ঠানের পরিবেশগত ছাড়পত্র নবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সীমিত আকারে খোলা রাখা প্রয়োজন।
- বর্তমানে বিভিন্ন সমস্যার ফলে সময়মত ছাড় করতে না পারার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে অনেক রেফার কন্টেইনার আটকে আছে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেক জাহাজ রেফার কন্টেইনার নিয়ে বন্দরে অতিরিক্ত সময় অবস্থান করতে বাধ্য হচ্ছে। যার ফলে ডেমারেজ চার্জ এর কারণে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের ব্যয় অনেকাংশে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে বন্দরে অবস্থিত রেফার কন্টেইনার দ্রুত ছাড়করণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
- এসব প্রেক্ষাপটে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানসমূহ দৈনিক কিছু সময়ের জন্য খোলা রাখার ব্যবস্থার করার মাধ্যমে ভোগ্যপণ্য, ঔষধ ও কাঁচামাল ইত্যাদি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস করা ও সারাদেশে পরিবহনের ক্ষেত্রে সহায়তা করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পত্রে আহ্বান জানানো হয়