বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, সিলেট: ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সাংবাদিক এ টি এম তুরাব হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সিলেট মহানগর পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার সাদেক কাউসার দস্তগীরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এতে সই করেন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শেরপুর ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাবেক এসএমপির এডিসি) সাদেক কাউসার দন্তগীরের বিরুদ্ধে এসএমপির কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করা হয়। মামলায় তিনি দুই নম্বর আসামি। গত ১৮ ডিসেম্বর তাকে শেরপুর ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার থেকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এডিসি সাদেক কাউসার দন্তগীরকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
সাদেক কাউসার দস্তগীর বর্তমানে কারাগারে। তিনি ৫ দিনের রিমান্ডে স্বীকার করেছিলেন গুলি করার কথা। রিমান্ডে তিনি জানিয়েছেন, ছাত্র আন্দোলন চলাকালে তিনি এক কনস্টেবলের কাছ থেকে অস্ত্র নিয়ে ৪৫ ডিগ্রি কোণে গুলি ছোড়েন। তবে কাউকে হত্যার উদ্দেশে গুলি ছোড়েননি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের পরিদর্শক মোহাম্মদ মুরসালিন জানান, রিমান্ডে ঘটনার দিনের ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ সাদেক কাউসার দস্তগীরকে দেখানো হয়। এর পর তিনি গুলি ছোড়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে গুলি ছুড়েছেন।
গত ১৯ জুলাই নগরীর বন্দরবাজারে এটিএম তুরাব পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান। গত ১৯ আগস্ট সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেনের আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাই আবুল হাসান মো. আজরফ জাবুর। সেই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাদেক কাউসার দস্তগীরের নাম রয়েছে। এই মামলায় ১৭ নভেম্বর কনস্টেবল উজ্জ্বলকে ঢাকা থেকে ও ১৮ ডিসেম্বর শেরপুর থেকে সাদেক কাউসার দস্তগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।