বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: বলিউড অভিনেতা সাইফআলি খানের ওপর হামলার মামলায় গ্রেপ্তার শাহজাদ (৩০)কে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রবিবার মুম্বইয়ের একটি আদালত। পুলিশি জেরার মুখে তিনি দোষ স্বীকার করেছেন বলে পুলিশি সূত্র উল্লেখ করেছে।
পুলিশ রিপোর্ট অনুসারে, শাহজাদের বাড়ি বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলায়। শাহজাদ ডাকাতির উদ্দেশ্যে খানের বান্দ্রার বাড়িতে প্রবেশ করেছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু ঘটনা এতই হিংসাত্মক হয়ে ওঠে, যার ফলে অভিনেতাকে ছয়বার ছুরিকাঘাত করা হয়। হামলার পর শাহজাদ পালিয়ে বান্দ্রা থেকে দাদরগামী ট্রেনে করে ওরলিতে তার অস্থায়ী বাসভবনে চলে যান। যখন তিনি তার ছবি নিউজ চ্যানেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়তে দেখেন। তাতে ভয়ে তিনি আত্মগোপনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
মুম্বইয়ের থানে এলাকার হিরানন্দানি এস্টেটের টিসিএসের কল সেন্টারের ঠিক পিছনে বিশাল এক জঙ্গল। সেই জঙ্গলেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। পুলিশি জেরার জানিয়েছে, জঙ্গলে ঢুকে প্রথমে গাছপালার আড়ালেই লুকিয়ে ছিলেন। তবে দিন বাড়লে ক্লান্তিতে তার ঘুম পায়। আর তখনই পুলিশকে ধোঁকা দিতে জঙ্গলের শুকনো পাতায় গোটা শরীর ঢেকে নেন। আর সেই শুকনো পাতাকেই চাদর বানিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। তবে শুকনো পাতার চাদরও শেষমেশ বাঁচাতে পারেনি হামলাকারীকে। ঘুমন্ত চোখেই পুলিশের জালে পড়ে যায়।
পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর হওয়ার পর মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক তাঁর কৌঁসুলি। সন্দীপ শেখানে জানান, সাইফ আলি খান কখনও কোনও এমন মন্তব্য করেননি যার ফলে অন্য রাষ্ট্রের কেউ তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে। বা কোনও বাংলাদেশির থেকে তার প্রাণনাশের আশঙ্কা থাকবে। বাংলাদেশ কেন, অন্য দেশের ক্ষেত্রেই তা প্রযোজ্য। তার নামে কোনও আন্তর্জাতিক মামলা নেই। পুলিশ মামলাটা ঘোরাবার চেষ্টায় আছে যেহেতু অভিযুক্ত বাংলাদেশি। অভিযুক্ত কি বাংলাদেশি? এই প্রশ্নের উত্তরে সন্দীপ শেখানে মেনে নেন সইফের উপর হামলাকারী বাংলাদেশি, তবে মুম্বই পুলিশ যেমনটা জানিয়েছে যে ৬ মাস আগে বর্ডার পার করে এদেশে ঢোকে অভিযুক্ত সেই দাবি সঠিক নয়। সন্দীপের কথায় পরিবার নিয়ে গত অনেক বছর ধরেই নাকি এখানে থাকছে। অভিযুক্তর পরিবারও মুম্বইতেই থাকেন জানান আইনজীবী।
শনিবার পুলিশের কাছে ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন সইফপত্নী করিনা কাপুর খান। অভিনেত্রী বলেন, “আক্রমণকারী মারাত্মক হিংস্র। নৃশংসভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সইফের উপরে। এলোপাথাড়ি কোপাচ্ছিল।” করিনা আরও জানিয়েছেন, তাঁরা সবাই এখনও খুবই দুশ্চিন্তায়। ছোট ছেলে জেহের চোখে মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ রয়েছে।